সীতাকুণ্ডে মামুনের সামনে এবার আওয়ামী লীগ নেতা ইমরান

এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংগ্রহ করতে না পারার কারণে প্রার্থিতা বাতিল করা হয় চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর। তবে টানা চারদিন উচ্চ আদালতে ঘুরে অবশেষে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তিনি।

এখন আর নির্বাচন করতে বাধা রইলো না আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ ইমরানের।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চের রায়ে তার প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ আদালতের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চে এই রায় ঘোষণা দেওয়া হয়।

এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংগ্রহ করতে না পারার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে সীতাকুণ্ডের আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইমরানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনে আপীলের পরও যথাযথ সময় প্রদান না করা শুনানির কারণে সেখানেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি তিনি। এরপর হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আপীল করেন এবং চারদিন টানা অপেক্ষার পর তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

মোহাম্মদ ইমরানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হাবিবুল ইসলাম ভুঁইয়া এবং অ্যাডভোকেট মো. আবু নাসের।

মোহাম্মদ ইমরান জানান, মহান আল্লাহর দয়ায় জনগণের খেদমতের জন্য আমার পথ খুলে গেছে। আমি আমার এই প্রাথমিক বিজয় সীতাকুণ্ডের মানুষকে উৎসর্গ করে দিতে চাই। অপরাধমুক্ত সুশিক্ষিত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে আমার পথচলায় সীতাকুণ্ড, আকবরশাহ এবং পাহাড়তলী এলাকার জনসাধারণ শুধু নয় বরং বাংলাদেশের আপামর তৃণমূলের খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষেরা আমাকে সাহায্য সহযোগিতা ও অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে যাবেন।

বিএস/ডিজে