গণপরিবহনে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ ও তাৎক্ষণিক সমাধান দেয়ার লক্ষ্যে ছোট পরিসরে উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক অপরাধ দমনে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করার প্রয়াসে যাত্রী হয়রানি ও ইভটিজিং প্রতিরোধে সচেতনতায় পদক্ষেপ নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তর বিভাগ।
শনিবার ২৩ নভেম্বর সকালে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যাত্রীছাউনির সহযোগিতায় জিইসি মোড় এলাকায় যাত্রী হয়রানি এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে গণসচেতনতা কার্যক্রম আয়োজন করে সিএমপির উত্তর বিভাগ। এই কার্যক্রমে আরো সহায়তা করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোশতাক আহমেদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ‘এরকম একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ জানাই। যে কোনো প্রয়োজন কিংবা অসুবিধায় ৯৯৯-এ ফোন করার মাধ্যমে যাত্রীরা সকল প্রকার সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় খবর পাচ্ছিলাম যে গণপরিবহনে নারীরা হয়রানি ও ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছে। আর তারা তাৎক্ষণিক কোন থানায় যোগাযোগ করবে তা বুঝে উঠতে পারে না। যার কারণে মেয়েরা স্কুল – কলেজ আর নারীরা কর্মক্ষেত্রে যেতে অনুৎসাহিত হচ্ছে। এটাকে রোধ করার জন্যই আমরা এধরণের পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মূলত চার ধরনের স্টিকার করেছি। একটা মায়ের পক্ষ থেকে, একটা বোনের পক্ষ থেকে, একটা মেয়ের পক্ষ থেকে আর একটা স্ত্রীর পক্ষ থেকে। তারা যাতে যেকোনো সমস্যায় ৯৯৯ এ ফোন করে আমাদের সাহায্য নেয়। আমরা চেষ্টা করছি যাতে প্রত্যেকটি বাসে, টেম্পোতে এই চারটি স্টিকার থাকে।’
যাত্রী ছাউনি’র সদস্যবৃন্দ কোতোয়ালী থানা এলাকার নিউমার্কেট মোড়ে এই কার্যক্রমের স্টিকারগুলো বিভিন্ন বাস-টেম্পোতে লাগিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করেন।
এসআর/সিপি