বন্দরের সেই জায়গায় ‘পোদ্দারি’র অভিযোগ তদন্তে দুদক

চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাই ও রাজাখালে কর্ণফুলী নদী তীরবর্তী এলাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইজারা নেওয়া সোয়া দুই একর জায়গায় প্রায় আড়াই শতাধিক দোকান বিক্রি করে কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে তদন্ত কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম।

মঙ্গলবার ( ১২ নভেম্বর) সকালে বন্দরের শহীদ মো. ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির প্রশ্নের জবাবে আমিনুল ইসলাম এ তথ্য দেন।

গণশুনানির মঞ্চে দুদক কমিশনারের পাল্টা প্রশ্নের জবাবে মহিউদ্দিন বলেন, আমি একজন সাধারণ নাগরিক। জাতীয় সমবায় সমিতির ব্যানারে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে একবছরের ইজারা নিয়ে পুরো জায়াগার ব্যবস্থাপনায় রয়েছে সোনালী যান্ত্রিক মৎস্য সমবায় সমিতি লিমিটেড। ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বাবুল সরকারের নেতৃত্বে প্রায় আড়াই শতাধিক দোকান এককালীন বিক্রি করা হয়। প্রতিটি দোকান বিক্রি হয় ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকায়। বিষয়টি নিয়ে গত ৩ নভেম্বর দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের জায়গায় একের ব্যানারে অন্যের পোদ্দারি!’ এরকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এরপর মহিউদ্দিনের কাছে দুদক কমিশনার কোনো প্রমাণপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে এসময় দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণের কয়েকটি প্রিন্টের কপি দুদক কমিশনারের হাতে তুলে দেন তিনি।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাধারণ নাগরিক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ভুক্তভোগীদের নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩-১১ নভেম্বর চারটি ক্যাম্পে প্রায় দেড় শতাধিক অভিযোগ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ৫২টি অভিযোগের গণশুনানি করা হয়।

মুআ/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!