ফেনসিডিলসহ ধরা সেই মাস্টারের ছেলের যাবজ্জীবন

কুমিল্লা জেলার কাটাবিল এলাকার শিক্ষকের ছেলে আসাদুজ্জামান বাপ্পী। বাবার মতো শিক্ষক হতে না পারলেও মাদক লাইনে ‘শিক্ষক’ ছিলেন তিনি। মাইক্রোবাস চালানোর ফাঁকে চালান করতেন মাদক। ২০১২ সালে ৫৪০ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের পুরাতন রেলস্টেশন এলাকায় র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন তিনি। অবস্থা বেগতিক দেখে ফেনসিডিলসহ গাড়ি ফেলে দৌড় দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়, দেওয়া হয় মাদক মামলাও।

১২ বছর পর সেই মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হয়েছে বাপ্পীর।

সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন। যদিও রায় ঘোষণার সময় আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন বাপ্পী।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান বাপ্পী (৪০) কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালী থানার কাটাবিল গ্রামের শফিকুর রহমান মাস্টারের ছেলে।

জানা গেছে, বাপ্পী ভারত থেকে আসা নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের চালান কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম শহরে এনে বিক্রি করেন।

পরে এ ঘটনায় র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) কাজী মিজানুর রহমান বাদি হয়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় মাদক মামলা করেন।

তদন্ত শেষে নগর গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইলিয়াস খাঁন বাপ্পীকে একমাত্র আসামি করে ২০১২ সালের ৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৩ সালের ২২ মে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করে আদালতে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পিপি মো. নোমান চৌধুরী জানান, মাদক মামলায় বাপ্পীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!