পটিয়ার মাদ্রাসায় ছাত্র ধর্ষণ, শিক্ষক কারাগারে

অনেক শিক্ষকই ছাত্র বলাৎকারে জড়িত

১২ বছরের এক ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রামের পটিয়ার এক মাদ্রাসা শিক্ষক পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার পর মাদ্রাসাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই মাদ্রাসার সুপার ও ভারপ্রাপ্ত সুপারসহ অনেক শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পটিয়ার ধলঘাটের ইউনিয়নের করনখাইন রহমানিয়া মোহাম্মদিয়া কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রহিম উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে এতিমখানার ছাত্রদের যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ করে আসছিলেন। বিষয়টি এলাকার লোকজন ও কমিটির সদস্যদের মধ্যে জানাজানি হলে শিক্ষক রহিম উল্লাহকে তারা গোপনে নজরদারিতে রাখেন। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শিক্ষক রহিম উল্লাহ এতিমখানার এক ছাত্রকে ধর্ষণ করার সময় স্থানীয় লোকজন ও কমিটির সদস্যরা হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন। এরপর পটিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

গ্রেপ্তার হওয়া মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা রহিম উল্লাহ কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল এলাকার মোহাম্মদ আলমের পুত্র। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে অভিযোগে উঠেছে, ওই মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রহিম এবং ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কাদেরও ছাত্রদের নিয়মিত যৌন হয়রানি করে থাকেন। ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার সুপার ও ভারপ্রাপ্ত সুপারসহ অনেক শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। মাদ্রাসাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফিরোজ উদ্দিন জানান, ‘গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক রহিম উল্লাহ একাধিক ছেলেকে এর আগেও বলাৎকার করেছে।’ রোববারের ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও মাদ্রাসার ছাত্ররা মিলে হাতেনাতে ধরে ওই শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, ‘মাদ্রাসা শিক্ষক এতিমখানার ছাত্রদের নিয়মিত বলাৎকার ও যৌন হয়রানি করে আসছিল। এতে আরও কয়েকজন শিক্ষক জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!