সিঙ্গাপুরের চোখ চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে, সহায়তার আশ্বাস তিন খাতে

চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালসহ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাত প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তাও বিবেচনায় রয়েছে। চট্টগ্রামের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ভৌগোলিক মিল রয়েছে, সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে চট্টগ্রাম।

সিঙ্গাপুরের চোখ চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে, সহায়তার আশ্বাস তিন খাতে 1

রোববার (৫ মে) সকালে টাইগারপাসের চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে মেয়র রেজাউলের সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাৎ করেন সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহের। এ সময় মেয়রের এক প্রস্তাবের জবাবে তিনি একথা বলেন।

মেয়র রেজাউল বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। সিঙ্গাপুর এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনা বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

ডেরেক লোহে বলেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ভৌগোলিক মিল থাকায় সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর। একইসঙ্গে চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাত প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায়, তাও বিবেচনা করা হবে। বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী ও সৎ। সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দেবে।’

সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি, সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি’ অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!