চট্টগ্রাম কলেজে আবারও সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ, আহত ৬

‘বড় ভাই’কে সালাম না দেওয়ার জের

সিনিয়র ভাইকে সালাম না দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম কলেজে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ছয়জন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে কলেজের বাংলা বিভাগে ঘটনার সূত্রপাত হলেও তা সংঘর্ষে রূপ নেয় ক্যাম্পাসের কাঁঠাল তলায়।

সংঘর্ষে জড়ানো উভয়ই কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারী বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান সুজন, উপ দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুল করিম ইমন, আমিন ফয়সাল বিদ্যুৎ,মো. জাহিদ, মঈনুল ইসলাম ও মো. রাকিব।

সংঘর্ষের সময় উপস্থিত একাধিক ছাত্রনেতা জানান, কলেজে অনার্সের ভর্তি কার্যক্রম চলছে। তাই সব গ্রুপ নিজেদের মতো করে কর্মী সংগ্রহ করছে। কিছুদিন আগে নিজ গ্রুপের একটি অংশ অন্তঃকোন্দলে সভাপতি মাহমুদুল করিমের থেকে আলাদা হয়ে যায়। তাই বিছিন্ন গ্রুপের কর্মীরাও নিজেদের নতুন গ্রুপ বড় করতে কর্মী সংগ্রহে নামে।

ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে বাংলা বিভাগে কর্মী সংগ্রহ করছিল মাহমুদুল করিমের কর্মী, কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আমিন ফয়সাল বিদ্যুৎ। অন্যদিকে আলাদা হয়ে যাওয়া গ্রুপটির পক্ষে কাজ করছিল ইফতি নামে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। ছোট হয়ে ইফতি কেন বিদ্যুৎকে সালাম দেয়নি, সেজন্য ইফতিকে থাপ্পড় দেয় বিদ্যুৎ।

ঘটনার পর মাহমুদুল করিম থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া গ্রুপটি বিচার নিয়ে কাঁঠাল তলায় মাহমুদের কাছে যায়। সেই সময় মাহমুদের পেছনে দাঁড়ানো ছিল বিদ্যুৎ। তাকে দেখে অপর গ্রুপের সিনিয়ররা বিদ্যুৎকে মারতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়। পরে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।

এ সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে উত্তেজিত উভয় পক্ষকে কলেজ থেকে করে দেওয়া হয়।

যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের মামলা বা অভিযোগ হয়নি বলে জানান চকবাজার থানার ডিউটি অফিসার।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে সভাপতি মাহমুদুল করিমকে ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

সংঘর্ষে জড়িত অপর পক্ষের নেতা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাইমুন বলেন, ‘কলেজে সভাপতি, সেক্রেটারি ছাড়াও আমরা রাজনীতি করি। আমরা আমাদের মতো কর্মী সংগ্রহ করতে গেলে সভাপতি গ্রুপের ছেলেরা বাধা দেয়। তাতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।’

সংঘর্ষে অন্তত ছয়জন আহতের দাবি করেন সাইমুন।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!