চট্টগ্রামে এপিক হেলথে সব টেস্টে ২৫ ভাগ ছাড় মিলবে মাসব্যাপি

চট্টগ্রামের একমাত্র আইএসও সনদপ্রাপ্ত ল্যাব

আন্তর্জাতিক মান সংস্থার (আইএসও) সনদপ্রাপ্ত চট্টগ্রামের একমাত্র ল্যাব এপিক হেলথ কেয়ারে ২৫ শতাংশ ছাড়ে পরীক্ষা করা যাবে। এপিক হেলথ কেয়ারের সপ্তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকল পরীক্ষায় মাসব্যাপি ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে ল্যাব কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের জন্য চেয়ার বিতরণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

ল্যাবের সার্বিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘোষণা দিয়েছেন এপিক হেলথ কেয়ারের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর (সেলস এন্ড মার্কেটিং) টি এম হান্নান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যেসব টেস্টের জন্য আগে যেখানে চট্টগ্রামবাসীকে ঢাকা বা পার্শ্ববর্তী দেশের ল্যাবরেটরি রিপোর্টের উপর নির্ভর করতে হতো, বর্তমানে এপিক হেলথ কেয়ারের নানা উদ্যোগে অনেকাংশে এই নির্ভরতা কমে এসেছে। সাত-আট মাস ধরে ক্যান্সার শনাক্তের সব পরীক্ষাও করা যাচ্ছে ল্যাবে। টু কার্ড বায়োসপিও শুরু হয়েছে।

‘আইএসও এক্রিডিটেশন সনদ’ অর্জনের পর থেকেই এপিক হেলথ কেয়ার গতানুগতিক চর্চা বা প্রতিযোগিতার দিকে না তাকিয়ে ল্যাবরেটরি টেস্টের গুণগত মানের দিকেই সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হয়ে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা দিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক নীতিমালা বিদ্যমান ও যে গাইডলাইন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত তার নাম হল ‘আইএসও ১৫১৮৯:২০১২’। ওই গাইডলাইন অনুযায়ী চট্টগ্রামে প্রথম এবং একমাত্র এক্রিডিটেশন অর্জন করে এপিক হেলথ কেয়ার।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এপিক হেলথকেয়ারের পরিচালক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, ডাইরেক্টর (বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) মো. জসীম উদ্দিন, ডাইরেক্টর (অপারেশন্স) ডা. সাইফুদ্দীন মো খালেদ, এজিএম (এডমিন এন্ড এইচআর) মো. আরেক হোসেন, এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) সুমন রঞ্জন ভৌমিক, এজিএম (সেলস এন্ড মার্কেটিং) মো. আমিরুল ইসলাম, সিনিয়র ম্যানেজার (এডমিন এন্ড ফ্যাসিলিটি ম্যানেজমেন্ট) বেনজির আহমেদ, ম্যানেজার (অপারেশন্স) ডা. হামিদ হোছাইন আজাদ ও এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার (কর্পোরেট বিজনেস এন্ড ব্রান্ড ম্যানেজম্যান্ট) জহির রায়হান।

সারাদেশে বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে টি এম হান্নান বলেন, চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে আমাদের সেবার পরিধি বাড়বে। ঢাকার পূর্বাচলে জমি কিনেছি। সেখানেও ল্যাব করার পরিকল্পনা চলছে। বর্তমানে দিনে আমরা সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষকে সেবা দিচ্ছে।

সামাজিক দায়বদ্ধতায় এপিক হেলথ কেয়ারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান সমূহের রোগীদের কল্যাণে নানামুখী সহায়তা প্রদান এপিক হেলথকেয়ার নিয়মিত উদ্যোগ। অসহায়, গরিব রোগীদের বিভিন্ন টেস্টে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৪০ জন চিকিৎসককে থিসিস গবেষণায় সহযোগিতা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইউএসটিসিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে ২-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত হাতে-কলমে মেডিকেল ল্যাবরেটরি কার্যক্রম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের বিশেষ সুযোগ পেয়ে থাকেন।

এছাড়া বিএম ডিপো অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৪ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকার বেশি মূল্যের পরীক্ষা বিনামূল্যে করেছে এপিক হেলথ কেয়ার। তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে হেপাটাইসিস-বি, সি নির্ণয় এবং হেপাটাইসিস-বি টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা পাশে ছিল এপিক হেলথ কেয়ার।

আরএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!