গোপন রিপোর্টেও করোনাকালের ‘ভিলেন’ ডাক্তার নেতা ফয়সাল ইকবাল

৭ পর্যবেক্ষণের সঙ্গে ৫ সুপারিশ

করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামজুড়ে চিকিৎসাক্ষেত্রে নৈরাজ্য তৈরির জন্য বরাবরই দায়ী করা হচ্ছিল বিতর্কিত চিকিৎসক নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে। সাধারণ মানুষকে চিকিৎসাবঞ্চিত করা চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে তুমুল আলোচনা-সমালোচনায় বারেবারেই বিএমএ চট্টগ্রামের এই সাধারণ সম্পাদককে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছিলো বিভিন্ন মহল থেকে। গণমাধ্যম থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, এমনকি চট্টগ্রামের রাজপথে করোনাকালেই তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। সেখান থেকে উঠেছে তাকে গ্রেপ্তারের ডাকও।

সেই একই অভিযোগ উঠে এল পুলিশের এক গোপন প্রতিবেদনেও। পুরো প্রতিবেদনটিই বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে নিয়ে। গত ১ জুলাই বিশেষ ওই প্রতিবেদনটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে গত ১২ আগস্ট সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠানো হয়। এখন সেটি পর্যালোচনা করে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পাঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে।

সবসময়ই ক্লিনিকের পক্ষ নেন ফয়সাল ইকবাল
গত ১ জুলাই তৈরি করা পুলিশের গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীর সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ড উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক। দীর্ঘদিন তিনি বিএমএর চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক থাকার কারণে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সংক্রান্ত সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর তার একটি কর্তৃত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন ইস্যুতে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের পক্ষাবলম্বন করেন। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মালিকানার ওপর তার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালগুলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নন— এমন চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত। করোনা সংকটে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রম ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী প্রশ্রয়ে হয়েছে এমন অভিযোগ আছে।’

হলি ক্রিসেন্ট নিয়ে চাঁদাবাজি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মহানগরীর একমাত্র ডেডিকেটেড সরকারি হাসপাতাল ‘চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল’। প্রথমদিকে এই হাসপাতালে আইসিইউ ছিল না। সে সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হলে ১২টি বেসরকারি হাসপাতালকে তিনটি করে চার ধাপে বলা হয় আইসিইউ সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে বেসরকারি হাসপাতালগুলো অগ্রাহ্য করে। ফলে করোনাভাইরাসের চিকিৎসা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলো অনীহা প্রকাশ করেছে। এই অনীহার পেছনে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীর দায়দায়িত্ব আছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন। চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এসোসিয়েশন দীর্ঘ দুই মাস যাবত বলছিল যে, খুলশী থানাধীন দীর্ঘদিনের হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালটি কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য দ্রুত প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল প্রস্তুত করার বিষয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো এবং চট্টগ্রামের শিল্পপতিদের কাছ থেকে প্রচুর চাঁদা আদায়ের বিষয়ে ডা. ফয়সাল ইকবাল জড়িত ছিলেন মর্মে অভিযোগ আছে।’

চিকিৎসা নৈরাজ্যে ফয়সাল ইকবালের দায়
চট্টগ্রামে চিকিৎসা নৈরাজ্যের চিত্র তুলে ধরে গোপন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘করোনাভাইরাস সংকটের শুরু থেকে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালসমূহ সিদ্ধান্ত নেয় তাদের হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ভর্তি করবে না এবং অনেকদিন ধরে পরিত্যক্ত চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালকে তাদের নিজেদের অর্থায়নে সংস্কার করে সম্পূর্ণ কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে কাজ করার উপযুক্ত করে দেবে। এই হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালের দোহাই দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে মে মাসের শেষ সপ্তাহের পূর্ব পর্যন্ত তাদের হাসপাতালে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি করেনি। গত ১ জুন থেকে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম শুরু হয়।’

এতে আরও বলা হয়, ‘তবে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই এবং রোগীদের খাবারের ব্যবস্থা, বাথরুম, টয়লেট ইত্যাদির ভাল ব্যবস্থা নেই। আইসিইউগুলোতে শুধুমাত্র হাইফ্লো অক্সিজেন দেওয়া যায়, কিন্তু ভেন্টিলিটর নেই। হাসপাতালের পরিবেশ ভালো নয়। হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল চালু করার জন্য প্রত্যেক প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে তিন লাখ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক শিল্পপতির কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এ সকল অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় হলে হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভালো হতে পারতো। এই বিষয়ে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীর দায়দায়িত্ব আছে বলে মনে করা হয়।’

রোগী ভর্তি নিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালের অরাজকতা
বিশদ বিবরণ দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক রয়েছে মোট ৬১টি। এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সাধারণ বেডের সংখ্যা ২ হাজার ২৪১টি, কেবিন ১ হাজার ১৪৭টি, সিসিইউ ৮২টি, এইচডিইউ ৬৭টি এবং আইসিইউ ৮৩টি। সর্বমোট বেডের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৪৭টি। কর্মরত ডাক্তার রয়েছেন ১ হাজার ১৩৯ জন। নার্স-ব্রাদার-মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ২ হাজার ৫১৭ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ৫ হাজার ৩১৩ জন। চট্টগ্রামের সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো সরকারি নির্দেশনা মেনে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীদের ভর্তি করানোর যথেষ্ট আন্তরিক হলে চিকিৎসাক্ষেত্রে অরাজকতা সৃষ্টি হতো না। এই ক্ষেত্রে শুরু থেকে স্বাস্থ্য বিভাগ, বিএমএ, স্বাচিপ এব প্রশাসনিক সমন্বয় ভালোভাবে হলে অনেক বেশি সুফল পাওয়া যেতো।’

এতে আরও বলা হয়, ‘করোনাভাইরাস সংকট শুরুর প্রথম থেকে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ চিকিৎসাসেবা ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা নেয়নি। ২০২০ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহের আগে কোভিড-১৯ রোগী ভর্তি করেনি। এমনকি নন-কোভিড রোগীর ভর্তির ক্ষেত্রেও হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়। হাসপাতালে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর উপস্থিতি কম ছিল এবং অনেক ক্ষেত্রে রোগী ভর্তি করা হয়নি। সম্প্রতি সরকার বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ইমপেরিয়াল হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল কোডিভড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা শুরু করলেও ইমপেরিয়াল হাসপাতাল আজ পর্যন্ত রোগী ভর্তি শুরু করতে পারেনি। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের এরূপ আচরণের জন্য ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে দায়ী করা হয় এজন্য যে, সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করেন ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী সঠিক ভূমিকা নিলে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের মালিকেরা এরূপ আচরণের সাহস পেতেন না।’

ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার হুমকি
‘চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনিকে টেলিফোনে হত্যার হুমকি প্রদান’— এই উপশিরোনামে পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গত ২২ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। হালিশহর থানা এলাকার প্রিন্স অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে স্থাপিত একটি করোনাভাইরাস আইসোলেশন সেন্টারের প্রধান উদ্যোক্তা জনাব সাজ্জাদের সঙ্গে কথোপকথনের অংশবিশেষ শোনা যায়। অডিওটির ট্রান্সক্রিপশন নিম্নরূপ—
‘রইন্যার (নুরুল আজিম রনি) মতো চোর-ডাকাতের সাথে কী? দেশ একটু সুস্থ হোক। ওর লাশ দেখা যাবে। ওর লাশ যদি না ফেলি আমার নাম ফয়সাল ইকবাল না।’

এই অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের একাংশ ও অন্যান্য অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীর শাস্তি দাবি করে।’

সাত পর্যবেক্ষণেই বিতর্কিত ডাক্তার নেতা
মোট সাতটি পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে গোপনীয় ওই প্রতিবেদনে। এগুলো হচ্ছে—
১. ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি পক্ষ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জনাব আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে গ্রুপিং রাজনীতিতে ভূমিকা রাখেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক। ফলে তার সাম্প্রতিক বক্তব্যসমূহ মহানগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
২. করোনাভাইরাস সংকটের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও আ জ ম নাছির উদ্দিন গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করতে দেখা যায়।
৩. ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী চিকিৎসকদের নিরাপত্তা পর্যাপ্ত নয় বলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন এবং চিকিৎসকদের সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে দায়িত্বশীল পদে থেকে বিষোদগার করেন।
৪. প্রথমদিকে বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবাদানে অনীহার পিছনে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীর ভূমিকা আছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন।
৫. হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে কার্যকর না করা এবং দীর্ঘ কালক্ষেপণ করার ক্ষেত্রে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীর দায়দায়িত্ব আছে বলে সাধারণ মানুষ মনে করেন।
৬. নুরুল আজিম রনিকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।
৭. নুরুল আজিম রনির অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী চট্টগ্রাম বিএমএর প্রভাব খাটিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারেন বলে ধারণা করা হয়।

পাঁচ সুপারিশ
জুলাইয়ের শুরুতে প্রণয়ন করা এই প্রতিবেদনের শেষাংশে পাঁচটি সুপারিশও করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—
১. ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরীকে বিতর্কিত বক্তব্য ও কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া।
২. ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী কর্তৃক ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ যথাযথ অনুসন্ধানপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩. বিএমএর মাধ্যমে চিকিৎসকদের সুরক্ষা বিধি মেনে নির্ভয়ে কাজ করার জন্য উদ্ধুদ্ধ করা।
৪. হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালকে দ্রুত চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল হিসেবে সক্ষমতা তৈরি করার জন্য চট্টগ্রাম বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এসোসিয়েশনকে নির্দেশ দেওয়া এবং নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা।
৫. অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা মনিটিরিংয়ের জন্য গঠিত কমিটিতে স্বাচিপ ও বিএমএর গ্রহণযোগ্য চিকিৎসকদের অন্তর্ভূক্ত করে বেসরকারি হাসপাতালসমূহের প্রশাসনিক ও চিকিৎসা কার্যক্রম মনিটরিং জোরদার করা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!