দেড়শ শনাক্ত নিয়ে চট্টগ্রামে ১৬ হাজারের মাইলফলক পেরোল করোনা রোগী

দেড়শ ছুঁই ছুঁই শনাক্ত নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজারের মাইলফলক পেরোল। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ছয়টি এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলিয়ে ৯৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৫ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে নগরের ১২১ জন এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ২৪ জন। একই সময়ে করোনামুক্ত হয়েছেন ৬২ জন এবং নতুনভাবে করোনায় কারও প্রাণহানি ঘটেনি।

ফলে নতুন শনাক্তসহ চট্টগ্রামে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ১১৮ জন। এর মধ্যে নগরে ১১ হাজার ৪০১ জন এবং উপজেলায় চার হাজার ৭১৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৭০৮ জন এবং করোনার কাছে হার মেনেছেন ২৫৩ জন। যাদের মধ্যে নগরের ১৭৫ ও উপজেলার রয়েছে ৭৮ জন।

বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

সিভিল সার্জন জানান, চট্টগ্রামের সরকারি তিনটি, বেসরকারি দুটি এবং কক্সবাজরের একটি ল্যাব মিলে ৯৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে নগরের ১২১ জন এবং উপজেলার ২৪ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা থেকে ৬২ জন সুস্থ হয়েছেন এবং নতুনভাবে কেউ মারা যাননি।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে বিদেশগামীদের বাধ্যতামূলক করানো টেস্টসহ দিনের সর্বাধিক ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করোনা করা হয়। তাতে করোনা শনাক্ত হয় ২১ জন। এর মধ্যে ১৮ জন নগরের বাসিন্দা ও ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জন রোগী শনাক্ত হয়। যাদের ৬ জন নগরের এবং ২ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে নগরেরই ১২ জন, বাকি ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৬১ জনের করোনার পরীক্ষা হয়। তাতে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের মধ্যে ১ জন নগরের এবং ১০ জন বিভিন্ন উপজেলার।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এদের সবাই নগরের।

চট্টগ্রামের আরেকটি বেসরকারি ল্যাবে শেভরণ ল্যাবে চারদিন পর করোনার নমুনা পরীক্ষার তথ্য পাওয়া যায়। তাতে দেখা যায়, ২৬০ জনের নমুনায় দিনের সর্বোচ্চ ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ৭২ জন নগরের এবং ৭ জন উপজেলার রোগী।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করেও কোন রোগী পাওয়া যায়নি।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ২৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়। এছাড়া সীতাকুণ্ডে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে ৩ জন করে, পটিয়ায় ২ জন এবং চন্দনাইশ, বোয়ালখালী, রাউজান ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!