ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। বন্দরে ‘অ্যালার্ট ৩’ জারি করা হয়েছে। খোলা হয়েছে চারটি কনট্রোল রুম। জেটি ও বর্হিনোঙ্গরে থাকা জাহাজের পণ্য উঠানামা-খালাস বন্ধ করা হয়েছে। তবে, যেসব জাহাজে পণ্য উঠানামা অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় আছে, সেসব জাহাজে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, রিমেল বাংলাদেশের খুলনা ও বরিশাল উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি এখন বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৩০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থান করছে। এটি ১০ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

রবিবার (২৬ মে) আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি ১০-এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছিল।

এছাড়া বন্দর চ্যানেল, জাহাজ, জেটি, ইয়ার্ড, শেড, হ্যান্ডলিং ইকু্ইপমেন্ট নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাতে জোয়ার না থাকায় জেটিতে থাকা বড় জাহাজ সরানো না গেলেও সকাল ১০টার জোয়ারে সকল জাহাজ সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বন্দর কতৃপক্ষ।

বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে থাকা সকল লাইটার জাহাজ কর্ণফুলির উজানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বড় সব জাহাজকে বহিরনোঙরে চলে যেতে বলা হয়েছে আর ছোট জাহাজকে শাহ আমানত সেতুর উজানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ও উপকূলে মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর বায়েজিদ, বাটালী হিল, লালখানবাজার, ষোলশহরসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের অবিলম্বে সরে যেতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ৭৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে।

আইএমই/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!