চট্টগ্রামে ১৪ বছর পর ‘আইকনিক’ নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরু

রেজাউলের হাত ধরে সত্যি হচ্ছে মহিউদ্দীন চৌধুরীর স্বপ্ন

১৪ বছর পর শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামের নগর ভবন নির্মাণকাজ। এক বছরের মধ্যেই ২১ তলা ভবনের প্রথম তিন তলার কাজ শেষ হবে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর পর দুই মেয়র ও এক প্রশাসক গেলেও অর্থ সংকট, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না পাওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় সেই উদ্যোগ থমকে ছিল। অবশেষে মহিউদ্দিন চৌধুরীর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পেতে যাচ্ছে।

চট্টগ্রামে ১৪ বছর পর ‘আইকনিক’ নগর ভবন নির্মাণকাজ শুরু 1

সোমবার (৬ মে) নগরীর আন্দরকিল্লায় সিটি কর্পোরেশনের এই স্থায়ী ভবনের নির্মানকাজ উদ্বোধন করেন মেয়র রেজাউল। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ২১তলার আইকনিক ভবনটি নির্মাণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩৮ হাজার ৪৯০ বর্গফুট বা ৫৩ দশমিক ৪৫ কাঠা জায়গায় নগর ভবন নির্মাণ করা হবে। ‘প্রণয়ন’ নামে একটি কনসালটেন্ট ফার্ম আইকনিক এ ভবনের নকশা করেছে। ভবনের উপরে থাকবে সিটি ক্লক। ভবনের তিন পাশে সাজানো বাগান থাকবে, নির্মাণ করা হবে ফোয়ারা। থাকবে মাল্টিপারপাস, কনফারেন্স ও ব্যাংকুয়েট হল। তবে পুরো নগর ভবন নির্মাণ করা হবে ধাপে ধাপে। শুরুতে বেইসমেন্টসহ তিনটি ফ্লোর নির্মাণ করা হবে।

২০১০ সালে ১১ মার্চ তৎকালীন মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী নগর ভবনের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

নগর ভবনের কাজ উদ্বোধনীতে মেয়র রেজাউল বলেন, পুরাতন নগর ভবনের স্থানে পাশের আরও দুটি ভবনের স্থান সংযুক্ত করে এই আইকনিক ভবন নির্মাণ করা হবে। তিনটি বেইসমেন্টসহ পুরো নগর ভবন হবে ২১ তলা। এ ভবনের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করা হল আজ। আমাদের লক্ষ্য ২৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রথম ধাপের কাজের অংশ হিসেবে ৫-৬ তলা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করে টাইগারপাস থেকে আন্দরকিল্লায় চলে আসা। অন্যান্য অংশগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে৷

তিনি বলেন, স্থায়ী নগর ভবন না থাকায় বিদেশি অতিথিরা আসলে আমাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হত। নাগরিকদেরও সেবা প্রদান বিঘ্নিত হত। এ ভবনের একটি ফ্লোরে চট্টগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরতে গড়ে তোলা হবে জাদুঘর।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, মো. ইলিয়াছ, মো. আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লা চৌধুরী, রুমকি সেনগুপ্ত, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী , তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী, ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এস্টেট অফিসার মো. রেজাউল করিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজানা মুক্তা, রেজাউল বারী ভূইঁয়া, মীর্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসীন, তৌহিদুল ইসলাম, সালমা খাতুন, সহকারী প্রকৌশলী আসীর হামীম।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!