চকবাজারে ফের সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ, আহত ১৩

চট্টগ্রামে ফিলিস্তিনের পক্ষে ছাত্রসমাবেশ ও পদযাত্রা করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৩ নেতাকর্মী।

সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারের হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী। এদের মধ্যে রয়েছেন ডিগ্রি শেষবর্ষের মফিজুর রহমান, তৃতীয় বর্ষের আরমান হোসাইন, অনার্স চতুর্থ বর্ষের মোহাম্মদ তাকিব, দ্বিতীয় বর্ষের আরবিন আরমান, বিএসএস তৃতীয় বর্ষের সাইদুল, বিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের মো. নাফিস, বিএসএস দ্বিতীয় বর্ষের শিহাব এবং দ্বাদশ শ্রেণীর রিমন ও অন্তর।

তবে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল দাবি করেন, মহসিন কলেজের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর প্রথমে হামলা করেছে। সেই হামলায় জাহেদুলের চার কর্মী আহত হন। তারা হলেন ইমরান খান, আশিকুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম ও ইশান রাকিব।

জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে ফিলিস্তিনের পক্ষে ছাত্র সমাবেশ ও পদযাত্রা করতে যায় নগর ছাত্রলীগ। এর অংশ হিসেবে চকবাজার থানা ছাত্রলীগ ও মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আলাদা মিছিল বের করে।

মহসিন কলেজের মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈম। ওই মিছিলে কমিটির প্রায় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের মিছিলটির নেতৃত্ব দেন সভাপতি জাহেদুল ইসলাম ইরাক।

মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হলে সেখানে আগে থেকেই অন্য একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল চকবাজার থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা।

একই স্থানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে জুনিয়র নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। যা পরে সংঘর্ষে রুপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিটি কমিটিকে পদযাত্রা ও ছাত্রসমাবেশের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশে মিছিলে যাওয়ার জন্য বের হয় মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা দাবি করেন, জাহেদুলের হামলায় কলেজের অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হলেও ঘটনার কিছুই জানেন না চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর।

ওসি জানান, দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলেও তার কাছে হতাহতের কোনো খবর নেই।

ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে চকবাজার এলাকায় প্রায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজে কিছু দিন পর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন্দলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ২৭ মার্চ চকবাজারের চট্টগ্রাম কলেজে সালাম না দেওয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এর আগে ২১ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে কয়েক দফায় মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটে। এতে আটজন আহতও হন। এছাড়া গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বরও চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!