রাজীব সেন প্রিন্স : বিশেষ প্রতিনিধি ::
খুব দুর্গন্ধময়, অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে কয়েকটি কক্ষ। যেখান থেকে শোনা যেত শুধু গোঙানির শব্দ। রান্নাঘরের পাশেই একটি ‘টর্চার চেম্বার’ তৈরি করেছিল রাজাকার-আলবদররা। একটি ছোট্ট, অপরিসর কক্ষ, একটি চেয়ার পাতানো আছে।
নির্যাতনের সময় বন্দীদের ওই চেয়ারে বসানো হতো। দৈনিক ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা করে কিংবা অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা মুক্তিবাহিনীর লোকদের নির্যাতন করা হতো। কেউ কাতরাচ্ছেন, কেউ পানি, পানি বলে চিৎকার করছেন।
হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থাতেই অনেকে কক্ষের ভেতরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেন। একজনকে সামনে রেখেই আরেকজনের নির্যাতন চলত। অজ্ঞান হয়ে পড়লে নিয়ে যেত তাকেও। টর্চারের সময় রাজাকাররা তাদের ‘মালাউনের বাচ্চা’ ‘ভারতের দালাল’ ‘রাশিয়ার দালাল’ ‘নাস্তিক কমিউনিস্ট’ ‘দুষকৃতকারী’ ‘দেশের শত্রু’ বলে গালাগাল করত।
টর্চার চেম্বারে রাজাকাররা তাদের লোহার চেইন, লাঠি, বেত, হাতুড়ি, বেল্ট দিয়ে পেটাত। আর কোনদিন জয় বাংলা শব্দটি উচ্চারণ না করার অঙ্গিকার না করা পর্যন্তই তাদের পেঠাতো। এর পরও জয় বাংলা বা মুক্তিবাহিনীর কথা বললে মেঝেতে ফেলে পেটানো হতো। ঠিক এধরনের টানা ১৪ দিন নির্যাতনের পর সাইফুদ্দিনসহ অনেককেই কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল।
১৭ ডিসেম্বর সাইফুদ্দিন খান কারাগার থেকে মুক্তি পান।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম প্রতিদিন
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::