আল্লামা ফারুকী হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আল্লামা নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ এবং অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের উদ্যোগে কালোব্যাজ ধারণ এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি মুহাম্মদ নঈম উল ইসলাম বলেন, ‘৫ বছরেও ফারুকী হত্যা মামলার কোন সুরাহা হয়নি। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতির কারণে দেশের মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ভীতির মধ্যে জীবনযাপন করছে। জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হলে ফারুকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আল্লামা ফারুকী হত্যাকাণ্ডের সুরাহার ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব আছে। তুমুল জনপ্রিয় একজন ব্যক্তির চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও আদালতে চার্জশিট দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা। ফারুকী হত্যা নিয়ে প্রশাসনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে আমরা বিচার পাব বলে আশাবাদী হলেও সংশয়মুক্ত নই। অতীতে অনেক মামলার ক্ষেত্রেও দুয়েকজন চুনোপুটিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মূল আসামিদের বাদ দেওয়ার নাটক হয়েছে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব অতি দ্রুত তদন্তে বেরিয়ে আসা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া কিলারদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে।’

নগর উত্তর যুবসেনার সভাপতি মুহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মাহমুদ। প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুবসেনা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম।

সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম বলেন, ২০১৪ সালে ছাত্রসেনার পক্ষ থেকে ফারুকী হত্যায় নাম-ঠিকানা দিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উগ্রবাদী দর্শন প্রচারকারী ছয় উপস্থাপকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। তারাই ফারুকীকে হত্যা করিয়েছেন। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার তো দূরের কথা জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি পুলিশ।

তিনি বলেন, মামলায় বর্ণিত ছয় টিভি উপস্থাপককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুধু ফারুকী হত্যা নয় দেশজুড়ে জঙ্গীবাদ বিস্তারের অনেক তথ্যও উঠে আসতে পারে।
জসীম উদ্দীন বলেন, আল্লামা ফারুকী হত্যার বিচার বিলম্বিত হওয়ায় দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটেছে।

প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক বদরুল হুদা তারেক এবং সচিব মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফার যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ বক্তা ছিলেন ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব সেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল মোস্তফা সিদ্দিকী।

বক্তব্য রাখেন ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা এবং ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর নেতৃবৃন্দের মধ্যে মুহাম্মদ জয়নুল আলম, মুহাম্মদ শফিউল আলম, মুহাম্মদ আব্দুল করিম সেলিম, মাওলানা সোহাইল উদ্দিন আনসারী, এডিএম আরুছ, এইচএম শহীদুল্লাহ, হাফেজ মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মুহাম্মদ আসহাব উদ্দিন মুরাদ ও মুহাম্মদ মুছা।

এনজে/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!