কানাডা চলে গেল রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবার

কক্সবাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের ১১ সদস্য কানাডা চলে গেলেন। কানাডা সরকার পুরো পরিবারকে শরণার্থীর মর্যাদা দিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) রাত ১১টায় টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে মুহিবুল্লাহর পরিবারটি কানাডার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহর পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ৯ ছেলেমেয়ে এবং জামাতাসহ মোট ১১ জন। কানাডা সরকার এই ১১ জনকেই শরণার্থীর মর্যাদা দিচ্ছে।

কানাডায় যাওয়ার বিষয়ে পরিবারটিকে সহায়তা দেয় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম)।

মুহিবুল্লাহ নিহত হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারে অবস্থানরত তার পরিবার নিরাপত্তা নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা জানিয়ে আসছিল। পরে তারা বিদেশে আশ্রয় চেয়ে আন্তর্জাতিক দুটি সংস্থা ইউএনএইচসিআর ও আইওএমের কাছে আবেদন করেছিলেন।

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ১-ইস্ট নম্বর লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উখিয়ার কুতুপালংয়ের এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে রাত সোয়া ১০টার দিকে মুহিবুল্লাহ মারা যান। এ ঘটনার জন্য তার পরিবার মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরসাকে (আরাকান স্যালভেশন আর্মি) দায়ী করে আসছে।

৪০ বছর বয়সী এ রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহ নামে পরিচিত ছিলেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন। আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি পিস ফর হিউম্যান রাইটস নামে একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।

২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করে আলোচনায় আসেন তিনি। জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থায়ও রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm