প্রধানমন্ত্রীর মুখে চট্টগ্রামের ভাষা— ‘আঁত্তুন তুঁয়ারাল্লা পেট পুরের’

গণভবন থেকে উপভোগ করলেন কক্সবাজারের খেলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি কক্সবাজারবাসী এবং সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে প্রয়োজনে আমি আমার বাবার মতো জীবন উৎসর্গ করব।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখে চট্টগ্রামের ভাষা— ‘আঁত্তুন তুঁয়ারাল্লা পেট পুরের’ 1

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আঁত্তুন তুঁয়ারাল্লাই পেট পুরের, আমি কক্সবাজার আসবো।’

তিনি গণভবন থেকে বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়নের নতুন জোয়ার : বদলে যাও কক্সবাজার’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদযাপনের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু চার জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২২’- এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন শিশু বা মানুষেরা সমাজের বোঝা তো নয়ই, বরং তারা তাদের কর্মক্ষমতা দিয়ে সমাজকে সম্মৃদ্ধ করতে পারে। তিনি বলেন, ‘শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জে পড়া এসব শিশু ও মানুষ আমাদের বোঝা নয়, তাদের নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি, আমরা মনে করি তারা আমাদেরই একজন- আর এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিনও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

বঙ্গবন্ধু চার জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল ভারতকে নয় উইকেটে পরাজিত করে।

প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়াও তিনি দেশে শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন মানুষ ও শিশুদের জন্য ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট ১০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মো. জাহিদ আহসান রাসেল চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও রানার্সআপ ভারতীয় দলকে পুরস্কার হস্তান্তর করেন।

টুর্নামেন্টে এই অসামান্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন এই খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে ইতোমধ্যেই ২১৬টি স্বর্ণ ও অন্যান্য পদক জয় করে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

এর আগে শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কিছু সময় টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি উপভোগ করেন। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের করতালি দিয়ে ও জাতীয় পতাকা নেড়ে উৎসাহ দেন।

বঙ্গবন্ধু চার জাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের জাভেদ ভুঁইয়া ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হন। তিনি মোট ১৫৯ রান ও দুই উইকেট লাভ করেন। ফাইনাল ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন কাজল হোসেন। তিনি মাত্র ৩২ বল খেলে ৬০ রান করেন। বাংলাদেশের সাজ্জাদ হোসেন টুর্নামেন্টে সেরা উইকেট স্কোরারের পুরস্কার গ্রহণ করেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড এবং ন্যাশনাল প্যারালিম্পিকস কমিটি যৌথভাবে টুর্নামেন্টটির আয়োজন করে। এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৭ মার্চে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটিতে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা ও স্বাগতিক বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!