মুকুল কান্তি দাশ,চকরিয়া: টিটু দাশ। বয়স ১৩। বাবার আর্থিক দুরবস্থার কারণে ৪র্থ শ্রেণী থেকে নেমে পড়ে। কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের ভরামহুরী এলাকার বাসিন্দা। বাবা কমল দাশ পেশায় একজন রাজমেস্ত্রী। মা রেখা রানী দাশ গৃহিনী। এক ছেলে এক মেয়ের সংসার। ছোট বোনটি স্কুল পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্য দশটি ছেলের মতো সুস্থভাবেই জন্ম নেয় টিটু। কিন্তু টিটুর বয়স যখন ২ মাস পার হয় মুখের বাম পাশে দেখা দেয় ছোট্ট একটি মাংস পিন্ড। পরে মুখের বাম পাশে বেশ কয়েকটি মাংস পিন্ড দেখা দেয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বড় হতে থাকে ওইসব মাংস পিন্ডগুলো। পরে ডাক্তার দেখায় টিটুর পরিবার। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা ধারনা করে মাংস পিন্ডগুলো টিউমার। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভাল একজন চিকিৎসক দেখানোর পরামর্শ দেয় স্থানীয় চিকিৎসকরা। কিন্তু আর্থিক কারণে তাকে ভাল কোন ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়নি। ফলে টিটুর বয়স যতই বাড়তে থাকে ওই টিউমারও বাড়তে থাকে। আর এই টিউমার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন পার করছে টিটু।
চকরিয়া পৌরশহরের ৪নং ওয়ার্ডস্থ ভরামুহুরীস্থ হিন্দুপাড়া এলাকার বাসিন্দা কমল দাশের ছেলে টিুট প্রোয় ১৩ বছর যাবৎ তার মুখের বাম পাশে এই টিউমার বহন করে আসছে। টিটুর এই অবস্থা দেখে অনেকে ভয়ে-আতঙ্কে তার কাছ থেকে সরে যায়। আর এসব কারণে সে নিজেকে সব সময় লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
টিটুর বাবা পেশায় একজন রাজমেস্ত্রী। পরিবারের ভরণপোষণ করে ছেলের চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারছে না তার বাবা।
কথা হয় টিটু ও তার বাবার সঙ্গে। এ সময় টিটুর বাবা কমল দাশ বলেন, টিটুর বয়স যখন দুই মাস তখন তার মুখের বাম পাশে ছোট একটি মাংস পিন্ড দেখা দেয়। পরে মুখের বাম পাশে ও গলার নিচে বেশ কয়েকটি মাংস পিন্ড দেখা দিলে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসকরা ভাল একজন চিকিৎসককে দেখাতে বলে। কিন্তু আমার তেমন সামর্থ্য না থাকায় তাকে ভাল চিকিৎসক দেখানো সম্ভব হয়নি। পাড়া-প্রতিবেশির পরামর্শে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খাওয়াচ্ছি।
টিটু জানায়, টিউমারের কারণে মুখের বাম পাশটা বড় হয়ে আছে। মাঝে মাঝে ব্যাথায় অস্থির হয়ে ওঠি। টিউমারটি বহন করে চলতে তার খুব অস্থির লাগে। স্বাভাবিক মানুষের মতো জীবন যাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করে টিটু তার চিকিৎসায় ধনার্ঢ্য ব্যক্তিসহ সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।