১০ ডিগ্রির নিচে সীতাকুণ্ড ও বান্দরবান, স্কুল বন্ধ ছিল না নির্দেশের পরও

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও বান্দরবানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেও সেখানে কোনো স্কুল বন্ধ রাখা হয়নি। অথচ শিক্ষা বিভাগের লিখিত নির্দেশনা ছিল, দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে নামলেই স্কুল বন্ধ রাখতে হবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও বান্দরবান জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। এর মধ্যে সীতাকুণ্ডে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। অন্যদিকে বান্দরবান জেলায়ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া এদিন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নামে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, পাবনার ঈশ্বরদী, চুয়াডাঙ্গা ও বরিশাল জেলায়।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার পরও স্কুল ছুটি না দেওয়া প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হয়নি। তাই স্কুল খোলা ছিল। আমরা জানতে পারলে নিয়ম অনুযায়ী বন্ধ রাখা হতো।’

অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কাছ থেকে সাড়া মেলেনি।

এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পক্ষ থেকে দেশে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ১০ ডিগ্রির নিচে নামলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়, যেসব জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেসব জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হবে।

মাউশির সহকারী পরিচালক এসএম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দেশের বিভিন্ন জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে (সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসের প্রমাণক অনুযায়ী) নেমে গেলে আঞ্চলিক উপ পরিচালকগণ ওই জেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তাপমাত্রার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

একইদিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশেও চলমান শৈত্যপ্রবাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই আদেশ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও জানানো হয়।

চলমান শৈত্যপ্রবাহে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে ওই আদেশে বলা হয়, কোনো জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালক জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেবেন। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর বেশি না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!