হালিশহর থেকে উদ্ধার ময়মনসিংহের ‘অপহৃত’ কিশোরী

পাঁচ দিন পর চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে উদ্ধার করা হল ময়মনসিংহ থেকে অপহৃত নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে।

গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার পর রমজান আলী নামের একজনের (৩৮) সহায়তায় নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের হালিশহরের এক বাড়িতে। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) গভীর রাতে ময়মনসিংহ পুলিশের একটি দল চট্টগ্রামে এসে হালিশহর থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে। এ সময় অভিযুক্ত আতাউর রহমান আলতু নামে একজনকেও আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের শিকার ওই ছাত্রী জানান, আলতু নামের ওই ব্যক্তি হালিশহরের একটি বাড়িতে তাকে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।

তবে অভিযুক্ত আলতু পুলিশকে জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে তারা পালিয়েছিলেন। ওই ছাত্রীকে তিনি বিয়েও করেছেন।

এ ঘটনায় শনিবার (২ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।

মামলা সূত্রে থেকে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী। খালার বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও স্কুলছাত্রীর সন্ধান পায়নি পরিবারের সদস্যরা। এ নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

পরে জানা যায়, উপজেলার মাইজহাটি গ্রামের দুই সন্তানের জনক আতাউর রহমান ওরফে আলতু (২৮) মিয়া ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায়।

পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে জানা যায়, ওই ছাত্রীকে নিয়ে বখাটে আলতু চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে। গত শুক্রবার (১ জানুয়ারি) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আলতুকে আটক এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় আনা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক শাওন চক্রবর্তী জানান, শনিবার বিকেলে ওই ছাত্রী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। আটক আলতুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!