আগ্রাবাদের ইসলামী ব্যাংকে রহস্যঘেরা একাউন্ট, ২০০০ কোটি না ২০৯ কোটি টাকা?

চট্টগ্রামে ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় বিদেশ থেকে আসা দুই হাজার কোটি টাকা নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নড়েচড়ে বসলেও ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, দুই হাজার কোটি নয়, সাত বছর আগে ব্যাংকের তহবিলে এসেছিল কেবল ২০৯ কোটি টাকা।

শনিবার (২ জানুয়ারি) ব্যাংকটির পক্ষ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের সর্বসাকুল্যে লেনদেন ছিল ২০৯ কোটি টাকা। সেখানে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা প্রেরণ ও দেশে বিতরণের ঘটনাটির কোনো সত্যতা নেই।

সত্যতা নেই বলে দাবি করা হলেও দুই হাজার কোটি টাকার ওই রহস্যময় তহবিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন অনুসন্ধান টিমের প্রধান দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক। সূত্রের দাবি, তার আগেই এ বিষয়ে কিছু নথিপত্রও পেয়েছে দুদক।

দুদক সূত্র জানাচ্ছে, ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় ২০১৩ সালে অজ্ঞাত উৎস থেকে ব্যাংকটির অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে দুই হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল আসে। পরে ওই টাকার একটি অংশ ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় স্থানান্তর করা হলেও এ টাকা পরে কোন্ কোন্ ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে গেছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি দুদক।

ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখায় অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে এই টাকা কোথা থেকে এসেছে তার উৎস এবং বিনিয়োগের বিস্তারিত তথ্যও পাওয়া যায়নি।

তবে জঙ্গিবাদ কিংবা অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য এসব অর্থ বিদেশ থেকে এসেছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে দুদক। কোনো অবৈধ অর্থ বা সম্পদ যদি কোথাও জমা থাকে তাহলে এর অনেক কারণ থাকতে পারে। দুদক মূলত এই কারণগুলোই খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এদিকে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কখনোই বিদেশ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা প্রেরণ এবং তা দেশের ভেতর বিতরণের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (২ জানুয়ারি) ব্যাংকটির পক্ষ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের সর্বসাকুল্যে লেনদেন ছিল ২০৯ কোটি টাকা। সেখানে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা প্রেরণ ও দেশে বিতরণের ঘটনাটির কোন সত্যতা নেই।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে লেনদেনের তথ্য দেওয়া হয়েছে প্রকৃতপক্ষে এ রকম কোন লেনদেন আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি। ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের কার্যক্রম অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে সম্পাদিত হয়। ২০১৩ সালে ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের সর্বসাকুল্যে লেনদেন ছিল ২০৯ কোটি টাকা। তাই আগ্রাবাদ শাখার অফশোর ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিদেশ থেকে ২ হাজার কোটি টাকা প্রেরণ ও দেশে বিতরণের ঘটনাটির কোনো সত্যতা নেই।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!