আফিলের আবেদনে বদলে গেল সাতকানিয়া বিএনপি

দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় উপজেলা ও পৌরসভা নামের দুটি স্বতন্ত্র সাংগঠনিক ইউনিটে বিভক্ত হয়ে এতো দিন বিএনপির নেতারা কাজ করতেন। নতুন বছর থেকে ‘উত্তর সাতকানিয়া’ নামে আরো একটি ইউনিটের পথচলা শুরু হয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে এই ইউনিট।

সাবেক ছাত্রদল নেতা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আফিল উদ্দীন আহম্মেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা নতুন এই ইউনিটের অনুমোদন দেন গত ৫ ডিসেম্বর।

নতুন এ ইউনিটের আবেদনকারী বিএনপি নেতা আফিল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের এই ছয়টি ইউনিয়ন চন্দনাইশ সংসদীয় আসনের সাথে যুক্ত। যার কারণে আমরা সাংগঠনিক কাজে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ি। এটি উপলব্ধি করে আমি আলাদা ইউনিটের আবেদন করলে আমাদের দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান সুপারিশ করেন। যার কারণে স্থায়ী কমিটি এই ইউনিটের অনুমোদন দেন।’

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সংগঠনকে গতিশীল করতে আফিল উদ্দিনের আবেদনে আমরা সাড়া দিয়েছি। ছয়টি ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তারা গত এক মাসে আগের চেয়ে আরও সক্রিয় দলীয় কর্মকাণ্ডে।’

ছয়টি ইউনিয়ন হলো কালিয়াইশ, কেওচিয়া, বাজালিয়া, ধর্মপুর, খাগরিয়া ও পুরানগড়।

প্রসঙ্গত, এই ছয়টি ইউনিয়ন সংসদীয় আসন চন্দনাইশের সাথে যুক্ত। চন্দনাইশ আসন থেকে সর্বশেষ বিএনপির সাংসদ হলে কর্নেল ড. অলি আহম্মদ। তিনি বিএনপি ত্যাগ করার পর নিজেই এলডিপির চেয়ারম্যান। অলি আহমদের পর থেকে এই আসনে সাংসদ বরাবরই আওয়ামী লীগের।

অপরদিকে সাতকানিয়ার অন্য অংশ ও লোহাগাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনের ১৯৯১ সাল থেকেই জামায়াত ও আওয়ামী লীগের সাংসদ। যার কারণে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়ার বিএনপি নেতাকর্মীরা মানসিকভাবে অনেকটা দুর্বল থাকেন। সাংগঠনিক কাজকর্মেও তার প্রভাব দৃশ্যমান।

এই ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে আলাদা ইউনিট হওয়াতে আগামী দিনে বিএনপির এই ইউনিটের নেতাকর্মীরা সরাসরি চন্দনাইশ আসনের সংসদীয় কমিটির সাথে কাজ করতে পারবে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নেও কোনো জটিলতা থাকবে না বলে জানান স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!