স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর

তিন মাস আগে স্ত্রীকে গোপনে তালাক দেন চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার সেইলার্স কলোনির ইউনুছ। সংসারে রয়েছে তাদের দুই সন্তান। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার আগে গোপনে বিয়ে করেন আরেক নারীকে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথম স্ত্রীকে আবারও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন অভিযোগ করেছেন তার সাবেক স্ত্রী সুমি।

ওই রাতে চট্টগ্রামের ইপিজেড থানায় ধর্ষণ চেষ্টায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন সুমি আক্তার নামে এক নারী। অভিযুক্ত ইউনুছ চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার সেইলার্স কলোনি ইসমাইল সারাংয়ের বাড়ির ইসমাইলের পুত্র।

ঘটনা সম্পর্কে সুমি আক্তার বলেন, ‘তিন মাস আগে আমাকে না জানিয়ে তালাক দেওয়া হয়। আমি তালাকের খবর পেয়েছি চট্টগ্রামের এক আইনজীবীর মাধ্যমে। আমার ঘরে এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে। আইনগত তালাক হলেও গত ৯ মার্চ একটি আপোষনামা করেন আমার সঙ্গে। যাতে আমি তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রাখি। এ সুযোগ নিয়ে মাঝে মাঝে আমাকে ফোন করতেন। ছেলে ও মেয়েদের খোঁজ নিতেন। বুধবার সন্ধ্যায় আমার সঙ্গে কথা আছে বলে ঘরে আসেন। এ সময় আমাকে নতুন করে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর সুমি সাক্ষী হিসেবে ফোন করে বাসায় ডেকে নিয়ে আসেন সাবেক কাউন্সিলর মো. আসলামকে। পরে আসলামকে সাক্ষী রেখে ইউনুছ বলেন, আমি ফ্রেস হয়ে ৩০ মিনিটের মধ্যেই আসছি, সুমিকে আবার বিয়ে করবো। এতে তিনি চলে যাওয়ার তিন ঘন্টার পর না আসায় পরে মো. আসলামের সঙ্গে আলোচনা করে আমি থানায় গিয়ে একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইপিজেড থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (সেকেন্ড অফিসার) ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় সুমি নামে এক নারী ধর্ষণের চেষ্টায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ইউনুছ নামের এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি সুমির সাবেক স্বামী বলে দাবি করছেন।

সুমির বরাত দিয়ে উপ-পরিদর্শক আরও বলেন, ইউনুছের সংসারে সে আবার ফিরে যেতে চাচ্ছে। দেখি দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হবে। সমঝোতায় না আসলে ইউনুছের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ২ লাখ টাকার দেনমোহরে সুমির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ইউনুছের।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!