সিএসসিআর ও ন্যাশনাল হাসপাতালে গিয়ে যা দেখলো নগর ছাত্রলীগ

চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা পরিস্থিতি মনিটরিং কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (৫ জুন) ন্যাশনাল হাসপাতাল ও সিএসসিআর হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে নগর ছাত্রলীগের একটি প্রতিনিধিদল।

এ সময় হাসপাতাল দুটির কোনটিতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কোন ব্যক্তি, কোন চিকিৎসক কিংবা নার্সের দেখা পাওয়া যায়নি। এছাড়া দুটো হাসপাতালেই আইসিইউ ওয়ার্ড পাওয়া গেছে বন্ধ অবস্থায়। সিএসসিআর হাসপাতালে কয়েকজন রোগী পাওয়া গেলেও ন্যাশনাল হাসপাতালে দু একজন ওয়ার্ডবয় ছাড়া কারও দেখা না পাওয়ার কথাই জানিয়েছেন হাসপাতাল ঘুরে আসা ছাত্রলীগ নেতারা।

শুক্রবার (৫ জুন) বিকেল ৪ টার দিকে নগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের নেতৃত্বে হাসপাতাল দুটি পরিদর্শন করেন নগর ছাত্রলীগের প্রতিনিধিরা।

সিএসসিআর ও ন্যাশনাল হাসপাতালে গিয়ে যা দেখলো নগর ছাত্রলীগ 1

জাকারিয়া দস্তগীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা দুটি হাসপাতালের কোথাও কোন ডাক্তার বা নার্স দেখিনি। সিএসসিআরে কয়েকজন রোগী পেয়েছি আমরা। তবে তারাও অভিযোগ করছিলেন ভর্তি হতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। এখন হাসপাতালে ভর্তি হলেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য আমরা হাসপাতালটির দায়িত্বশীল কাউকে পাইনি। রিসেপশনে যারা ছিল তারা এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। অন্যদিকে ন্যাশনাল হাসপাতালে কয়েকজন ওয়ার্ডবয় আর একজন অফিস সহকারীকে দেখেছি শুধু। সেখানে কোন রোগী ছিল না।’

দুই হাসপাতালে আইসিইউ ওয়ার্ড বন্ধ করে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল হাসপাতালে ৮টি এবং সিএসসিআরে ৬টি আইসিউ বেড রয়েছে। অথচ দুটি হাসপাতালেই আইসিইউ সেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ন্যাশনাল হাসপাতালে যে অফিস সহকারী ছিল তিনি আমাদের জানিয়েছেন রোববার (৭ জুন) তাদের আইসিইউ চালুর বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সিএসসিআরের রিসিপশনিস্ট আমাদের এই বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।’

প্রতিনিধিদলে থাকা নগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সাব্বির সাকির জানান, ‘হাসপাতালে কোন ডাক্তার-নার্স না থাকলেও দুই হাসপাতালেই কোভিড রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন হাসপাতালে থাকা লোকজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি অনুযায়ী ন্যাশনাল হাসপাতালে মোট ১৮ সিটের আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। যেখানে এর মধ্যে ১৬ জন করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি আছেন। অন্যদিকে সিএসসিআরে ১২ সিটের আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে জানিয়ে তারা বলেছে সেখানে ৭ জন করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি আছে।’

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা শেখ বশির আহমেদ, নগর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এম হাসান আলী, সদস্য মাহমুদুল হাসান বাবু, ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ মুন্না, আওরাজ ভূঁইয়া রনক, মো. জাহেদুল ইসলাম, ওয়াহিদ বিন ইউনুস, ইমরান হোসেন সাজেন, শাহ কামাল রিমন প্রমুখ।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!