চট্টগ্রাম কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু

২০ বছর আগের তিন ভাইবোন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে।

মারা যাওয়া কয়েদির নাম আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৭১)। তিনি নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কয়েদি। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে বিরোধ ছিল আসামি ইউসুফ ও কাশেম নামের এক ব্যক্তির। সেই বিরোধের জের ধরে ২০০৪ সালের ২৯ জুন বালুচরা এলাকায় সাইফুল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করেন আসামিরা। আসামিদের দেখে মনোয়ারা বেগম চিৎকার দিলে তাকে প্রথমে গুলি করেন ফয়েজ মুন্না। এতে মনোয়ারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। বোনের চিৎকার শুনে আলমগীর ঘর থেকে বের হলে আসামি ইউসুফ তাকেও ফয়েজ মুন্নাকে গুলি করার নির্দেশ দেয়। মুন্না গুলি করলে আলমগীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সময় ঘর থেকে সাইফুল বের হলে কপালে, বুকে, পেটে, পিঠে ও হাতে গুলি করা হয় তাকে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। গত ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত তিন ভাইবোনের হত্যা মামলায় আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম ও ইউসুফ প্রকাশ বাইট্টা ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন।

আবুল কাশেমকে গত ১৭ এপ্রিল হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম মঙ্গলবার ভোরে কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। উন্নত চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয় তাকে। সেখানে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি কেয়ারে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!