ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ট্রলারডুবি বঙ্গোপসাগরে, ৩০ মাঝিমাল্লা উদ্ধার

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ৩০ জন মাঝিমাল্লাকে উদ্ধার করেছে। তবে এখনও আরও অর্ধশতাধিক নিখোঁজ আছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণবোঝাই ১৫-২০টি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।

উদ্ধার মাঝিমাল্লারা হলেন বাঁশখালী উপজেলার আল্লাহর দান ট্র্রলারের মো. জিয়া মাঝি, মো. আলী, মো. মানিক, মো. সোহেল, মো. মনচুর, জাবেদ আহমদ, কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী, ট্রলারের মাঝি মো. মানিক, নুরুল আমিন, মো. আনিস, বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। তবে অন্যদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বুধবার সকাল থেকে সাগরে বাতাস ও ঢেউ বেশি ছিল। এ সময় ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবাহী ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার ডুবে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে উপকূলে নিয়ে আসে।

বার আউলিয়া ট্রলারের মাঝি ফারুক বলেন, কুতুবদিয়া থেকে আসার সময় সকালে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে ট্রলার উল্টে ডুবে যায়। আমাদের সঙ্গে থাকা ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার ডুবে গেছে। প্রতিটি ট্রলারে ৫ থেকে ৭ জন মাঝিমাল্লা ছিল।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার মালিকানাধীন ‘এমভি বার আউলিয়া’ নামের ট্রলারটি ৬০ টন লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। ঝড়ের একপর্যায়ে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরও ১৫-২৯টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বার আউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আমার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়েছে।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। খোঁজদের সন্ধানে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!