সিএমপি কনস্টেবলের চাঁদাবাজির চক্র, সীতাকুণ্ডে মার খেল তিনজন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পরিচয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গণহারে চাঁদাবাজির সময় চট্টগ্রাম নগর পুলিশে কর্মরত এক কনস্টেবলসহ তিনজনকে আটক করে পিটিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে সীতাকুণ্ডের বড়কুমিরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ওই কনস্টেবলের নাম সোহেল রানা। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি। তিনজনের এই চক্র এর আগে জোড়ামতল বাজারেও চাঁদাবাজি করেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিন যুবক একটি প্রাইভেট কারযোগে কুমিরা বাজারে আসেন। এদের মধ্যে একজন নিজেকে সীতাকুণ্ড থানার সাব ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে বাজারের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ধমকাতে থাকেন এই বলে— ‘লকডাউনের মধ্যে দোকান খুলছিস কেন।’

সিএমপি কনস্টেবলের চাঁদাবাজির চক্র, সীতাকুণ্ডে মার খেল তিনজন 1

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই তরুণের প্যান্টে পিস্তল রাখার খাপ থাকায় তাকে ‘সিভিল পুলিশ’ মনে করে ভয় পেয়ে যান ব্যবসায়ীরাও। এই সুযোগে ওই তরুণ ডালচালমিয়া মাজার রোডের অন্তত ১৫টি দোকান থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে থাকেন। কয়েকজন দোকানদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জোর জবরদস্তি তাদের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা লুটে নেওয়া হয়। পরে জানা গেছে, এই তরুণের নাম সোহেল রানা।

ঘটনার একপর্যায়ে আশপাশে খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলাউদ্দিনসহ স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এলাকাবাসী তিনজনকেই আটক করে পেটাচ্ছে।

পরে ওই তিনজনকে আটকে রেখে সীতাকুণ্ড থানায় খবর দেওয়া হলে ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ সেখানে ছুটে যান। তারা এসে ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এর মধ্যে কনস্টেবল সোহেল রানা বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনে রয়েছে। অপর দুজনের একজন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন এবং অন্যজন গাড়িচালক।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!