সাতকানিয়ায় করোনায় মৃতের কাছে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউনের দাবি

করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির অসুস্থতায় সেবা প্রদানকারী ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউনের দাবি করছে সাতকানিয়ার এওচিয়ার বাসিন্দারা। জানা গেছে, সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশা ইছামতি আলীনগরের করোনায় মৃত ব্যক্তির অসুস্থ থাকা অবস্থা থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত পাশে থেকেছেন তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই।

এলাকাবাসীরা বলছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির অসুস্থতার সময় থেকেই পাশে ছিলেন তার মেয়ের জামাই। তিনি নিজেই দাফন কাফনের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া তার অন্য মেয়েরাও তার পাশে ছিলেন। তারা বাইরে বের হলে সামাজিক সংক্রমণের শিকার হতে পারেন বলে আশংকা করছে এলাকায় বসবাসকারীরা।

ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহাবুদদীন রাশেদ বলেন, ‘পুরো এলাকা লকডাউন না করলে হুমকির মুখে পড়তে পারে পুরো সাতকানিয়া। অবিলম্বে ৭/৮/৯ তিনটি ওয়ার্ড লকডাউন করার জন্য প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ওয়ার্ড মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘তার মেয়ের জামাই শশুরের খুব আপনজন এবং বিশ্বস্ত তাই তার শশুরের পাশে থাকাটা স্বাভাবিক। এলাকায় অন্যদের সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আমি কিছুটা লকডাউন করেছি।’

এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদদীন আহমদ কচির বলেন, ‘করোনা উপসর্গ আক্রান্ত হয়ে মৃ্ত্যুর পরপরই এলাকাগুলো লকডাউনের আওতায় আনা জরুরি ছিলো। কারণ স্যাম্পলের রেজাল্ট আসতে সময় লাগে, ততদিনে করোনার আরো বিস্তার ঘটে যায়।’

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ৬৯ বছর বয়স্ক বাসিন্দা বৃহস্পতিবারই (৯ এপ্রিল) মারা গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার পথে। তার শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় মৃতদেহ থেকে নমূনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। শনিবার (১১ এপ্রিল) জানা গেল তিনি করোনাভাইরাস পজেটিভ হয়েই মৃত্যুবরণ করেছেন।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!