শুক্রবার হাটহাজারীর চারিয়ায় শুরু হচ্ছে জোড় ইজতেমা

হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়ায় শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। শুক্রবার ভোরে আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে এই ইজতেমা।

জানা যায়, ৬-৮ ডিসেম্বর তৃতীয়বারের মত শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী জোড় ইজতেমায় বৃহত্তর চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লাসহ ১৬ জেলার ইজতেমার সাথে জোড় ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

এবারে ইজতেমায় প্রায় দুইলক্ষ মুসল্লির জন্য মাঠের উত্তর দক্ষিণে প্রায় ১২ লক্ষ বর্গফুটের বিশাল প্যাণ্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। ইজতেমার মাঠ ও সার্বিক প্রস্তুতির জন্য মুসল্লিরা ২০ দিন যাবত স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে আসছেন। আজ বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে।

ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট, ৪ থেকে ৫ হাজার মুসল্লির একসাথে অজুর ব্যবস্থা, গোসলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমায় আগতদের জন্য ১৭টি খিত্তায় ১৭জন আমিরের নেতৃত্বে মুসল্লিরা তদারকি করবেন। বিদেশিদের জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি দল ও হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন।

হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজতেমায় লাইটিং, টয়লেট, প্যাণ্ডেল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো তৈরি, মশা ও পোকামাকড়ের ওষুধ ছিটানোসহ বিভিন্ন কাজে তদারকি ও সহয়োগীতা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইজতেমাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় মুসল্লিদের জন্য সব ধরণের সুবিধা নিশ্চিতে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। আমি আজ ইজতেমার মাঠ ও সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে চারস্তরের নিরাপত্তাসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ টিম, মোবাইল টিম ও কয়েকটি স্পটে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরায় পুরো ইজতেমাস্থল নজরদারি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সিএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!