রেল শ্রমিক লীগের ৫ কেন্দ্রীয় নেতা পদ হারালেন আদালতের রায়ে

আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় রেল শ্রমিক লীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জন রেল শ্রমিকলীগ নেতাকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি গঠনের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট।

ফলে দীর্ঘদিন পর রেল শ্রমিক লীগ অবসরপ্রাপ্ত নেতাদের রাহুমুক্ত হলো।

এক শ্রমিকলীগ নেতা ২০২২ সালের ৩০ জুন হাইকোর্টে বাদী হয়ে রীট পিটিশন করেন। চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারী হাইকোর্ট শুনানি শেষে ৩ মাসের মধ্যে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।

সোমবার (২৮ মে) রেল শ্রমিক লীগ সাবেক কার্যনিবাহী সদস্য মাসুম বিল্লাহ (পিটিশন ৮১৭১/২০২২) রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি বুঝে পান।

বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান, মো. ইকবাল কবির দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মামলার বাদী মাসুম বিল্লাহ জানান, চাকরি থেকে অবসর নিলেও শ্রমিক লীগ নেতারা শীর্ষ পদ আঁকড়ে ধরে পরিবারের সদস্যদের পদপদবী দিয়ে কমিটি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বঞ্চিত হচ্ছে মাঠকর্মীরা। তিনি ন্যায় বিচার পেতেই মামলা করেছেন বলে জানান।

রেল শ্রমিক লীগের অব্যাহতি প্রাপ্ত ৫ নেতা হলেন, সভাপতি হুমায়ুন কবির, কার্যকরী সভাপতি লোকমান হোসেন ও ওয়ালী খান, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান
আকন্দ,অতিরিক্ত সাধারন সম্পাদক গোকুল চন্দ্র চক্রবর্ত্তী।

আদালতের আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এটি কোন অবস্থাতেই শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রেলওয়ে নেই। রেল শ্রমিকলীগে অবসর প্রাপ্তদের ১০ শতাংশের থাকার কোনো বিধান নাই।

ফলে বর্তমান কমিটির ৫ জন সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি প্রদান করে আইন অনুযায়ী মহাপরিচালক শ্রম অধিদপ্তরকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে কমিটি গঠনের আদেশ দেয়।

অব্যাহতি পাওয়া সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা রায়ের কপি হাতে পেলেই উচ্চ আদালতে যাব।’৷

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ২০০৬ সাল থেকে সভাপতির দায়িত্বে আছি। ২০১৫ সালে রেলের চাকরি থেকে অবসর নিই।’

জিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!