রেললাইনের পাশে পাগলীর সন্তান প্রসব, মানবিক পুলিশ নিয়ে গেল হাসপাতালে

রেললাইনের পাশে সদ্যভূমিষ্ট বাচ্চা ও মায়ের জীবন বাঁচালেন ডবলমুরিং থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ডবলমুরিং থানার রেলওয়ে ডকইয়ার্ড রেল লাইনের পাশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। নবজাতক শিশুর মায়ের নাম রিনা আকতার (৩০)। মহিলাটি পাগল বলে স্থানীয়রা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রেলওয়ে ডকইয়ার্ড রেল লাইনের পাশে সদ্য ভূমিষ্ট নবজাতকের কান্নায় লোকজন জড়ো হলেও তাকে কেউ উদ্ধার করেনি। খবর পেয়ে ডবলমুড়িং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এরপর অসুস্থ মা ও নবজাতককে উদ্ধার করে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে মা রিনাকে রক্ত দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়। মানবিক এই পুলিশ কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় দুটি জীবন রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় মা ও শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে এসআই আলাউদ্দিন বলেন, রেলওয়ে ডকইয়ার্ড রেল লাইনের পাশে সদ্য ভূমিষ্ট এক নবজাতক পড়ে আছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি বাচ্চাটি ঠান্ডায় কাঁপছে, তার সারা শরীরে পিঁপড়া ভর্তি। এর কিছুদূর দেখতে পেলাম এক পাগল মহিলা শুয়ে আছে। বুঝতে পারলাম নবজাতকের জম্মদাত্রী ওই মহিলা। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সঙ্গে সঙ্গে নবজাতক ও তার মা দু’জনের জীবন বাঁচাতে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে মুমূর্ষ মহিলাকে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচান কর্তব্যরত এক কনস্টেবল। বর্তমানে শিশু ও মা দু’জনই সুস্থ আছে।

জেএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!