রাস্তা দখলের দোকানে কেনাকাটা নয়: চসিক প্রশাসক সুজন

যারা রাস্তা দখল করে নিয়ম-নীতি না মেনে দোকান বসিয়েছেন তাদের কাছ থেকে কেনাকাটা না করার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগর সেবায় ক্যারাভান নিয়ে কোতোয়ালী মোড় থেকে আশারাফ আলী রোড হয়ে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত যাত্রাকালে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।

ক্যারাভান কর্মসূচি চলাকাকে প্রশাসক সুজন কর্ণফুলী ব্রিজ এলাকায় রাস্তা দখল করে যানজট সৃষ্টিকারি গাড়ি পার্কিং দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য হুঁশিয়ার করেন।

তিনি বলেন, আমি নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে একটি মানবিক এবং বাসযোগ্য নগরী গড়ার লড়াইয়ে নেমেছি। আমি হকারদের জন্য টাইমফ্রেম ও নিয়ম-নীতি ঠিক করে দিয়েছি। যাতে হকারও থাকে আর নগরবাসীও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। হকার নেতারা এসব মেনে চলবেন বলে ওয়াদাবদ্ধ হয়েছেন। নীয়ম-নীতি না মেনে যারা রাস্তায় বসবে তাদের থেকে নাগরিকরা কিছু কিনবেন না।

এ সময় আশরাফ আলী রোড সংলগ্ন ব্রিজের কারণে খালের মধ্যে বাঁধ দেওয়ায় সাময়িক যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তার জন্য এলাকাবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় বড় স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্র স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে হয়। ব্রিজের কাজ শেষ হলে এ দুর্ভোগ আর থাকবে না।

এছাড়া পাথরঘাটার মিরিন্ডা মেইন রোডে অবস্থিত ড্রেনে স্ল্যাব ভেঙে যে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে তাতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বিধায় আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে নতুন স্ল্যাব বসানোর নির্দেশনা দেন প্রশাসক। যাত্রাপথে তিনি ব্রিকফিল্ড রোড ও আশরাফ আলী রোডের অকেজো সড়ক বাতি সরিয়ে নিয়ে নতুন সড়ক বাতি লাগানোর জন্য চসিক বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

চলতি পথে প্রশাসক ময়লার স্তূপ, ভাঙা রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা তাৎক্ষণিক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন এবং এলাকাবাসীকে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা না ফেলার অনুরোধ জানান।

দুর্নীতি, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় স্বার্থান্বেষী মহলের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলেও এসময় অভিযোগ করেন সুজন। তবে এসবে দমে যাবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি যখন রাস্তায় নেমেছি কিছুতেই থামবার পাত্র না।’

বরাবারের মতো সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের উপর জোড় দিয়ে সুজন বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বড় অঙ্কের মেগা প্রকল্পগুলোতে অর্থের জোগান দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের চিত্র পাল্টে যাবে, চট্টগ্রাম হবে প্রাচ্যের রানি। চট্টগ্রামের উন্নয়নে সব সংস্থা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলেই প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের চট্টগ্রামে রূপ লাভ করবে এ নগরী। তাই সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের বিকল্প নেই।

ক্যারাভান কর্মসূচিতে প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোছাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, রাজনীতিক পুলক খাস্তগীর, মো. মোরশেদ আলম, মো. সোলায়মান সুমন, মো. সাইফুদ্দীন, দিদারুল আলম, আবুল কালাম আবু, মোজাম্মেল হক, শফিউল আলম, মনিুরুল হক মুন্না, নোমান সাঈফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এআরটি/এএইচ