রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চবি হঠাৎ উত্তপ্ত, তিন ছাত্র আহত

বিবাদে জড়াল সিক্সটি নাইন ও ভিএক্স গ্রুপ

ক্যাম্পাসে আসার সময় শাটল ট্রেনের বগিতে সিট নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই বগিভিত্তিক উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও সিক্সটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছেন বলে সর্বশেষ পাওয়া তথ্যে জানা গেছে। সিক্সটি নাইন ও ভিএক্স— দুই গ্রুপই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আ জ ম নাছিরের অনুসারী।

রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে চবি হঠাৎ উত্তপ্ত, তিন ছাত্র আহত 1

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্লাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আহত ওই তিন ছাত্রলীগকর্মী হলেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের মোহাম্মদ মামুন ও মো. মানিক এবং ভিএক্স গ্রুপের শাহ পরান। এর মধ্যে মামুন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, মানিক পড়ছেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষে। অন্যদিকে শাহ পরান উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা রাতের শাটল ট্রেনে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীদের কথা কাটাকাটি হয়। এর পর বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে পৌঁছার পরে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় একে অপরের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুড়ির ঘটনায় মানিক ও শাহ পরান নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হন।

ঘটনা প্রসঙ্গে সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, ‘শাটল ট্রেনে ক্যাম্পাস আসার সময়ে প্লাটফর্মের সামনে ট্রেনের সিট নিয়ে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।’

অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও ভিএক্স গ্রুপ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘জুনিয়রদের মাঝে রাতের ট্রেনে আসার সময় ভুল বোঝাবুঝি থেকে হাতাহাতি হয়েছে। বর্তমানে প্রশাসনের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা সিনিয়ররা বসে মীমাংসার চেষ্টা করছি।’

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘দুই পক্ষের ঝামেলায় তিন জন আহত হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনও রাখা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি আছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘আহত তিনজন চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তবে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।’

এ বিষয়ে জানতে হাটহাজারী থানার ওসি রহুল আমিন সবুজের সাথে যোগাযোগ করা হলে শুরুতেই ‘দুপক্ষের মারামারি হয়েছে, ঠিক আছে’ বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!