মেসি-সুয়ারেসের অনুপস্থিতি বুঝতে দেননি গ্রিজম্যান

জয়ে ফিরেছে পিএসজি

ইনজুরির কারণে একাদশে ছিলেন না দলের দুই সেরা তারকা লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেস। দেখা যায়নি উসমান দেম্বেলেকেও। তারপরও রোববার রাতে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লা লিগায় প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে চেনা পথে ফিরল কাতালান ক্লাবটি।

জয়ের নায়ক অ্যান্তোনিও গ্রিজমান। তার দাপটেই নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে রিয়াল বেতিসকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সা। জিতেছে ৫-২ গোলে। চ্যাম্পিয়নদের হয়ে জোড়া গোল করেন গ্রিজমান। বাকি তিন গোল করেছেন আর্তুরো ভিদাল, জর্দি আলবা আর কার্লেস পেরেস।

দাপট নিয়েই শুরু থেকে শেষ অব্দি খেলেছে বার্সা। তবে বিস্ময়করভাবে শুরুতে এগিয়ে যায় বেতিস। খেলার ১৫তম মিনিটে নাবিল ফেকিরের গোলে চমকে যায় স্বাগতিক দর্শকরা। তবে এরপর আক্রমণের গতি আরও বাড়িয়ে দেয় বার্সেলোনা। সুফলটাও পেয়ে যায় তারা। ৪১তম মিনিটে সমতা সূচক গোলটি করেন গ্রিজমান।

এরপর খেলার ৫০তম মিনিটে আচমকা এক শটে দলকে এগিয়ে দেন সেই গ্রিজমান। তারপর ৫৬তম মিনিটে প্লেসিং শটে দলকে আরও স্বস্তি এনে দেন পেরেস। দলটির হয়ে চার নম্বর গোলটি করেন আলবা।

গোল উৎসবের রাতে সুযোগটা কাজে লাগালেন ভিদালও। সতীর্থ গ্রিজমানের পাস থেকে বল পেয়ে খুঁজে নেন নিশানা। যদিও এরপরই ব্যবধান কমে লোরেনের গোলে।

নেইমার না ফিরলেও জয়ে ফিরেছে পিএসজি

একটি পেনাল্টি মিস করলেও পিএসজির হয়ে জোড়া গোলের দেখা পান ডি মারিয়া
একটি পেনাল্টি মিস করলেও পিএসজির হয়ে জোড়া গোলের দেখা পান ডি মারিয়া

ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে পিএসজি। ঘরের মাঠ প্রাক দে প্রিন্সে টলুজকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। সুস্থ থাকার পরেও এই ম্যাচেও দলে ছিলেন না নেইমার।

লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে রেনের কাছে হেরে পয়েন্ট খুয়িয়েছিল পিএসজি। সে ম্যাচেও ছিলেন না নেইমার। আর তাতেই গুঞ্জন আরও বেশি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ক্লাব ছাড়ছেন নেইমি। তবে গুঞ্জন যে পুরোপুরি গুঞ্জন নয় তা এই ম্যাচেই পরিষ্কার করে দিলেন পিএসজি কোচ থমাস তুখেল। আগেই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন নেইমারের বিষয়টা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দলের সাথে খেলবেন না। আর এই ম্যাচ তাই সুস্থ থাকা স্বত্বেও দলে ডাক পাননি তিনি।

তবে নেইমারকে ছাড়ায় বেশ সহজেই জয় পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপে গোল না পেলেও টলুজের জালে এক হালি গোল দিয়েছে তারা। আর আর্জেন্টাইন তারকা ডি মারিয়া পেনাল্টি মিস না করলে অবশ্য গোল ব্যবধান আরও বেশিও হতে পারত।

পা মচকে ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন এডিসন কাভানি, আর ম্যাড়মেড়ে খেলে তাই প্রথমার্ধে গোল শূণ্য থাকে পিএসজি। জয়ে ফিরতে মরিয়া এমবাপে-ডি মারিয়ারা তখন। বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র ৫ মিনিটেই ডেডলক ভাঙেন কাভানির বদলি হিসেবে মাঠে নামা এরিক ম্যাক্সিম মোটিং। আর প্রথম গোলের আরও পাঁচ মিনিট পর আত্মঘাতী গোলে পিএসজির লিড দ্বিগুণ করে দেন টলুজ ডিফেন্ডার ম্যাথিউ গঙ্কাল্ভাস।

ম্যাচের ৭১ মিনিটে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় পিএসজি। তবে ডি মারিয়া পেনাল্টি মিস করলে হাতছাড়া হয় সে সুযোগ। তবে ৭৫ মিনিটে মোটিং সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি। দলের তৃতীয় আর নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। এরপর ৮৩ মিনিটে মার্কুইনসের গোলে এসিস্ট করে নিজের ভুলে কিছুটা প্রলেপ লাগান ডি মারিয়া। আর পিএসজি এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে।

শেষ পর্যন্ত ৪ গোলে এগিয়ে থেকেই ম্যাচ জিতে নেয় পিএসজি। তিন ম্যাচের দুটি জয় আর একটিতে হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে পিএসজি। আর তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শীর্ষে অবস্থান করছে ফ্রেঞ্চ লিগ কাপ চ্যাম্পিয়ন রেনে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!