মৃত্যুমুখ থেকে ফেরা ওবায়দুল কাদেরেই আস্থা শেখ হাসিনার

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক

৪ মার্চ যেদিন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওবায়দুল কাদেরকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন অনেকেই তার শেষ দেখে ফেলেছিলেন। সেটা স্বাভাবিকও ছিল। বলতে গেলে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তিনি। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা সেই কাদেরেই দ্বিতীয়বারের মত ভরসা রাখছে আওয়ামী লীগ। ২১ তম সম্মেলনে দ্বিতীয় মেয়াদে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন তিনি।

২ মাস ১০ দিনের লড়াই শেষে সুস্থভাবে যেদিন দেশে ফিরেন কাদের তখনও বলাবলি হচ্ছিল মন্ত্রী ও দলের সাধারণ সম্পাদক পদ চালানোর মত ফিটনেস ফিরে পাবেন না তিনি। সেই আলাপকেও মিথ্যা প্রমাণ করেছেন কাদের। একসাথে দুটো দায়িত্বই সামলেছেন দারুণভাবে। প্রমাণ করেছেন অসুস্থতাকে তিনি প্রবলভাবে পরাজিত করেছেন।

৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত একজন রাজনীতিবিদ। ২০১৬ সালের ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০ তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। এর আগে টানা ৬ বছর দুই মেয়াদে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বার।

ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে পথ চলতে শুরু করা ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন ২০০২ সাল থেকেই। তবে ১৪ বছর আর তিনটি সম্মেলনে সেই স্বপ্ন অধরাই ছিল তার। মাঝে এক এগারোর সরকারের আমলে জেল খেটেছেন ১৮ মাস।

৩ বার সেক্রেটারি হওয়ার দৌড়ে থেকে হতে না পারা নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই কথা বলছিলেন ওবায়দুল কাদের। ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘তিন টার্ম আগেই সেক্রেটারি হওয়ার কথা ছিল আমার। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আমাকে তা করা হয়নি। আমি ধৈর্য ধরেছি, ধৈর্যের গুণ আছে।’

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানা মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গ্রেফতার হওয়া কাদের জেলে বন্দী থাকা অবস্থাতেই ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৮ থেকে টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ক্ষমতার মাঝামাঝি সময়ে পদ্মা সেতু দুর্নীতির অভিযোগে আবুল হাসানকে সরিয়ে কাদেরকে যোগাযোগমন্ত্রী করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত ওই মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন কাদের।

সিপি/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!