মিরসরাইয়ে দুর্ঘটনার স্থানে থেমে থেমে পার হচ্ছে পর্যটকদের গাড়ি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে খৈয়াছড়া ঝরনার রাস্তার মুখে দুর্ঘটনার পর শনিবার (৩০ জুলাই) ৫টি পর্যটকবাহী গাড়ি ভ্রমণে এসেছে। তবে গাড়িগুলো দুর্ঘটনাস্থলের রাস্তা পার হয়েছে থেমে থেমে। অনেক যাত্রীকে গাড়ি থেকে নেমে রাস্তা পার হতে দেখা গেছে। সবার চেহারায় ছিলো চিন্তার ভাঁজ।

এর আগে শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে পর্যটকবাহী মাইক্রোবাস ও মহানগর প্রভাতী ট্রেনের সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হন। ছুটির দিন উপলক্ষে আরএনজি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনা দেখতে আসেন। ঝরনা দেখা শেষে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ফিরতি পথে পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা এলাকার রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। মূলত গেটম্যানের অবহেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ভোলা মিস্ত্রি বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ (শনিবার) পযর্টকবাহী গাড়ি খুব কম দেখা যাচ্ছে। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুটি গাড়ি ভেতরে যেতে দেখছি। তবে গাড়িগুলো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তারপর পার হয়েছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘কয়েকজন পর্যটককে গেটবার দেওয়ার পরও ভেতরে গিয়ে ট্রেনের ছবি তুলতে দেখা গেছে। শুক্রবার এত বড় দুর্ঘটনা হওয়ার পরও তাদের মধ্যে একটুও ভয় কাজ করছে না।’

কথা হয় কুমিল্লা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক রনির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে ১০-১২ জন বন্ধু মিলে ঝরনায় ঘুরতে এসেছি। আমরা উভয় দিকে ভালো করে দেখে রাস্তা পার হয়েছি।’

এত বড় দুর্ঘটনার পরও কেন আসলেন—এমন প্রশ্নের জবাবে জামশেদ নামের অপর এক পর্যটক বলেন, দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। আজ (শনিবার) আমাদের ছুটি ছিল। তাই বন্ধুরা সবাই মিলে ঘুরতে এসেছি। তবে মনের মধ্যে ভয়ও ছিল। এখানে আসার পর আমাদের গাড়ি ২ মিনিট দাঁড় করে রেখে আমরা নেমে উভয় দিকে দেখে তারপর রাস্তা পার হই।’

গেটম্যানের অস্থায়ী দায়িত্বে থাকা সুকাশ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি অস্থায়ী হিসেবে আছি। আমাকে অফিস থেকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাই দায়িত্ব পালন করছি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!