দেড় কোটি টাকার স্বর্ণের বার মিলল ঘরের সানসেডে

আসমত উল্লাহ, থাকেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল ছলিমপুরে। তিনি একজন মিয়ানমারের নাগরিক হলেও ১০ বছর আগে দেশ থেকে পালিয়ে চলে আসেন চট্টগ্রাম। এসেই শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা। বড় বড় চালান আনতে থাকেন মায়ানমার থেকে। এরপর শুরু করেন স্বর্ণ চোরাচালান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ধরা পড়েন র‌্যাবের হাতে।

আসমত উল্লাহর বাবার নাম মৃত মোজাহের আহমেদ। জঙ্গল ছলিমপুরের আসমতের ভাড়া বাসার সানসেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৮টি স্বর্ণের বার। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।

এ সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার জঙ্গল ছলিমপুর মৃত মোজাহের আহমেদের ছেলে আসমত উল্লাহ (২৪) ও তার মা মোছাম্মদ ছহুরা খাতুনকে (৬৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে সংবাদ সম্মলেন এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এমএ ইউসুফ।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার আসামিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। ২০১২ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তারা। সর্বশেষ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুর থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আসামি আসমত উল্লাহ ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত কক্সবাজারের ঈদগাহে অবস্থানর করেছিলেন। ২০১৪ সালে এজেন্সির মাধ্যমে তার এলাকার চাচা আব্দুস সালাম তাকে পাসপোর্ট বানিয়ে ও ভিসা দিয়ে সৌদি আরবে নিয়ে যান।

২০১৪ থেকে ২০২০ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেছিলেন। ২০২০ সালে সৌদি আরবে অবৈধভাবে অবস্থান করায় সেখানকার তাকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। বাংলাদেশে আসার পর ২০২০ সালের ডিসেম্বরের দিকে তিনি বিয়ে করেন। পরে স্ত্রী ও ও মাসহ জঙ্গল ছলিমপুর এসে বসবাস শুরু করেন।

র‌্যাব জানায়, অবৈধ স্বর্ণের বার চোরাচালান চক্রের ওপর নজরদারি বাড়ানো পশোপাশি এক পর্যায়ে জানতে পারি— সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর ইউপির ১০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ জঙ্গল ছলিমপুর একটি ভাড়া ঘরের ভেতর মজুদ করেছে স্বর্ণের বার। এ তথ্যের ভিত্তি করে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাবের একটি দল। তল্লাশি চালিয়ে কক্ষের ভিতর পশ্চিম পাশের সানসেডের ওপরে একটি প্লাস্টিকের বাটির ভেতর লাল শপিং ব্যাগে ভেতরে ৮টি স্বর্ণের বার, চেইন ৫টি, স্বর্ণের বালা ১ জোড়া, স্বর্ণের কানের দুল ৩ জোড়া, স্বর্ণের আংটি ০৩ টি, স্বর্ণের লকেট ৪টি উদ্ধার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!