মা-মেয়ে পেটানো সেই চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে লোক জড়ো করে মানববন্ধন

শালিসে এনে মাসহ দুই মেয়েকে গাছের সাথে বেঁধে নিপীড়নকারী সেই ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম মিরানকে বাঁচাতে লোক জড়ো করে মানববন্ধন করা হল চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং এলাকায়।

ভিজিএফ কার্ড, এনজিওর চাল ও সরকারি বিভিন্ন ভাতার লোভ দেখিয়ে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার মহাসড়কে লোক দেখানো মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত থাকা কয়েকজন তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্থানীয় লোকজনকে ভিজিএফকার্ড, এনজিও’র চাল ও প্রধামন্ত্রীর প্রতিবছরের উৎসব ভাতা দেওয়া হবে বলে প্রলোভন দেখানো ছাড়াও মানববন্ধনে অংশ না নিলে তাদের দেখে নেওয়া হবে বলে অনেকটা জোর করে হাজির করেছে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। এছাড়াও এ সময় স্বাস্থ্যবিধিও অনুসরণ করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্ট কক্সবাজারের চকরিয়ায় মা ও তরুণী মেয়েকে ‘গরু চোর’ আখ্যা দিয়ে পশুর মতোই পেটান হারবাং ইউনিয়নের আলোচিত চেয়ারম্যান মো. মিরানুল ইসলাম। যা দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বিকাল ৫টায় ঘটনার ভুক্তভোগী পারভীন আক্তার চকরিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা দায়ের করেন। এতে চকরিয়া উপজেলা হারবাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিরানুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২১ আগস্ট শুক্রবার একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আমি আমার দুই মেয়ে সেলিনা আক্তার, রোজিনা আক্তার ও ছেলে এমরান এবং তার বন্ধু ছুট্টুসহ ডুলাহাজারাস্থ পূর্ব হাইদারনাশির আমার ছোট মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলাম। আমাদের বহনকারী অটোরিক্সাটি হারবাং বৃন্দাবনখিল লালব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে পিছন থেকে দুটি মোটরসাইকেলে করে মোট ৬ জন লোক আমাদের পিছু নেয়। পরে আমাদের গাড়িচালক ভয় পেয়ে হারবাং স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে যেতে শুরু করে। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহী ৬ জনসহ আরও বেশ কয়েকজন নোক আমাদের অটোরিক্সাটি আটকে ফেলে।

ধাওয়া করা লোকজন গরু চুরির অপবাদ দিয়ে আমাদের মারধর শুরু করে। এ সময় আসামিরা আমাদের কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা, কানের দুল (স্বর্ণের) ও গলার চেইন এবং চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

এমআইটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!