রাজীব সেন প্রিন্স, বিশেষ প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের আলোচিত পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে দেখা যায় তার শরীরে মোট ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এক মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে দুর্বৃত্তরা মাহমুদা খানমের মাথার বাম ও ডান পাশে এবং বুকের মাঝখানে, কাঁধে, হাতের কনুই ও পিঠের মাঝখানেসহ মোট আটবার ছুরিকাঘাত করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুধু ছুরিকাঘাত করেই ক্ষ্যান্ত হননি তারা মাহমুদার মৃত্যু নিশ্চিত করতে প্রথমবার গুলি করে ব্যার্থ হলেও দ্বিতীয়বার মাহমুদার মাথার বাম পাশে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও মাথার ডান পাশে পাওয়া গেছে ইটের আঘাত। ইটের আঘাতটি হয়তো মাটিতে পড়ে যাওয়ার সময় পেয়েছেন।
রোববার দুপুরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের সামনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. কবির এ তথ্য জানান।
এর আগে রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা অাক্তার মিতুকে হত্যা করা হয়। তার দুটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। তাদের ক্যান্টন্টমেন্ট স্কুলে নিয়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। বাবুল অাক্তার ঢাকায় অবস্থান করলেও তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে নিয়ে নগরীর জিইসি এলাকার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
জঙ্গিবিরোধী অভিযানে এসপির সক্রিয় ভূমিকার কারণে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, এই দুর্বৃত্তরাও মোটরসাইকেলে করে এসেছিল।
পিবিআই চট্টগ্রাম প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বশির আহমেদ খান জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ধরন জঙ্গিদের দ্বারা সংঘটিত আগের হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে মিল আছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনাস্থলের অাশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। খুনিদের ধরতে অভিযান চলছে।
খুনিদের ধরতে র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ১০টি দল মাঠে কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ। তিনি আশা করেন, আসামিরা ধরা পড়বে।
রিপোর্ট : রাজীব সেন প্রিন্স
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::