চট্টগ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে অপহরণের ৪৭ দিন পর উদ্ধার করেছেন মেয়েটির বাবা। দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ছাড়াও সংশ্লিষ্টদের দপ্তরে ধরনা দিয়েও উদ্ধার না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নিজেই সন্তানকে উদ্ধারে নামেন বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা প্রবাসী ওই বাবা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়ার ঝাড়পুকুর এলাকা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরীর বাবা বলেন, গত ২১ জানুয়ারি আবু কালাম (২৮) নামের এক যুবক সহযোগীদের নিয়ে তার মাদ্রাসাপড়ুয়া কিশোরী মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলা করতে গেলে বাঁশখালী থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করলে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেয়।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ, পিবিআইয়ের হাতে মামলার তদন্ত যাওয়ার পর দীর্ঘ একমাসেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছিল না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করেছেন। এর মধ্যে তিনি (কিশোরীর বাবা) বিদেশ থেকে এসে নানা মাধ্যমে সন্তানের খোঁজ নিতে থাকেন।
গত বুধবার (৬ মার্চ) অপহৃত কিশোরী একটি অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে তার বাবার কাছে ফোন করে বাঁশবাড়িয়ার একটি বাড়িতে তাকে আটকে রাখার কথা জানায়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে উল্লেখিত ঠিকানায় গিয়ে সন্তানকে উদ্ধার করেন প্রবাসী বাবা।
উদ্ধারের পর অপহৃত কিশোরী তার পরিবারের কাছে অভিযোগ করে, অপহরণের পর তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত কালাম ও তার আত্মীয়স্বজন তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে। বেশিরভাগ সময় তাকে বদ্ধ ঘরে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করতেন অভিযুক্ত কালাম।
এ ব্যাপারে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অভিযুক্তরা ভিকটিমকে নিয়ে বারবার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার করা যায়নি। যেহেতু এখন ভিকটিম উদ্ধার হয়েছে, তার দেওয়া তথ্যমতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।