বৃষ্টি মাথায় ঈদের আনন্দে ভাসলো চট্টগ্রাম

মেঘলা আকাশ আর গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টির বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ঈদ জামাতে নেমেছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনা ১৬৪ টি স্থান ছাড়াও প্রতিটি পাড়ার মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির তত্ত্বাবধানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯৪টি।

চসিকের ব্যবস্থাপনায় বরাবরের মতো এবারও নগরীতে প্রথম ও প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মো. আলাউদ্দীন আল কাদেরীর ইমামতিতে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা আহমদুল হকের ইমামতিতে সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষে খুতবা ও মুনাজাতে জাতির সুখ, সমৃদ্ধি কামনা পাশাপাশি জঙ্গি হামলাসহ সকল প্রকার নাশকতা থেকে মুক্তি চাওয়া হয়।

প্রথম জামায়াতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবি নেতৃবৃন্দেরও মিলনমেলায় পরিণত হয় ঈদগাহ ময়দান। ভেদাভেদ ভুলে এককাতারে নামাজ আদায়ের পর একে অন্যকে টেনে নেন বুকে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মন্ত্রী ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম বিএসসি, সাবেক মন্ত্রী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীন আহমেদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ একই কাতারে ঈদের নামাজ আদায় শেষে কোলাকুলি করেন।

সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান ঈদ উদযাপনের জন্য চট্টগ্রাম এসেও ঈদের তারিখ বিভ্রান্তির শিকার হয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা ফিরে যান পারিবারিক প্রয়োজনে। মধ্যরাতে ঈদের তারিখ ঘোষণা হওয়ায় চট্টগ্রাম ফিরতে পারেননি। নগরবাসীর সাথে উদযাপন করতে পারেননি বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

বৈরী আবহাওয়ায় যাতে নামাজ আদায়ে অসুবিধা না হয় সেজন্য ত্রিপলের শামিয়ানা দেওয়া হয়েছিল পুরো জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে।

সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি হামলার হুমকি মোকাবেলায় বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ফটকগুলোতে তিনটি মুভিং ক্যামেরাসহ ২২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। নগর পুলিশের নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি প্রস্তত রাখা হয়েছিল বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াত, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!