ফটিকছড়িতে বিস্ফোরক লাইন্সেস ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার

আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :

বৃহত্তর ফটিকছড়ি উপজেলার ৪৩ বাজারে আইনের তোয়াক্কার না করে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। রহস্য জনক কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকায়।

ফটিকছড়িতে বিস্ফোরক লাইন্সেস ছাড়াই অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার 1
জানা গেছে, গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতমূলক। উপজেলায় কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছে মতই গ্যাসের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এসব গ্যাস সিলিন্ডার যত্রতত্র বিক্রয়ের ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। জনসমাগমস্থলে কোনো ধরণের সতর্কবার্তা ছাড়াই এই বিপজ্জনক পদার্থ বিক্রি করছেন। অবৈধ ভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
খোজ নিয়ে জানা যায়, নাজিরহাট, বিবিরহাট ও নানুপুর বাজারে কয়েকটি দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানে বিস্ফোরক লাইসেন্স নেই। তৈলের দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, মোবাইলের দোকান, এমনকি ওষুধের ফার্মেসিতে চলছে গ্যাসের ব্যবসা। এদের কারো বিস্ফোরক লাইসেন্স নেই। নেই ফায়ার নির্বাপণ যন্ত্র। বিস্ফোরক লাইসেন্সের প্রদত্ত নিয়ম-কানুন অনুযায়ী গ্যাসের ডিলার পরিচালিত হয়। এতে নিরাপদে গ্যাস মজুদসহ নানা ধরনের দিক-নির্দেশনা থাকে।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়,  উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি এলাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়াই খুলে বসেছেন গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান। কোন বৈধতা না থাকলেও প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছেন ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসা। ফলে নিয়ম ছাড়াই ঝুকিপূর্ণভাবে মজুদ হচ্ছে গ্যাসের সিলিন্ডার। গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবসারও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। যে যার যার মত ইচ্ছেমত দামে বিক্রি করছে গ্যাস।
এছাড়া গ্যাসের অবৈধ এসব ব্যবসায়ীরা বাড়তি দাম, ওজনে কারচুপি সহ নানা অপকর্ম করছে। বৈধ ডিলারের সাইনবোর্ডে পদ্মা, মেঘনা, যমুনাসহ নানা ধরনের গ্যাস কোম্পানীর নাম লিখা থাকে। কিন্তু অনুমোদনহীন অবৈধ ডিলারে এসব নাম থাকে না। নিয়মানুযায়ী ট্রেড লাইসেন্স বা বিস্ফোরক লাইন্সেস না নিয়ে কেউ গ্যাসের ডিলার দিতে পারেনা। গ্যাসের ডিলারের মূল ভিত্তি হল বিস্ফোরক লাইসেন্স।

ফটিকছড়ি ফায়ার সার্ভিস এর কর্মকর্তা পুলক কান্তি সরকার জানায়,এ ব্যবসা পরিচালনার জন্য তাদের কাছ থেকে না হয় চট্টগ্রাম থেকে বিস্ফোরক আইনের আওতায় লাইসেন্স নেওয়ার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ব্যবসায়ীর কোনো বৈধ অনুমোদন নেই।
এ বিষয়ে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হয়দার বলেন, এটি অবশ্যই বিপদজনক ব্যবসা। বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া এবং অনুমোদনহীন অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির বিরুদ্ধে শিঘ্রীই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ এস / জি এম এম / রাজীব প্রিন্স :

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!