প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানালো পিএইচপি

গত ৩ ডিসেম্বর ‘চলাচলের রাস্তা দখল করে পিএইচপির কারখানা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে হেড অব এইচআর এন্ড অ্যাডমিন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদলিপিতে প্রতিবেদনটি সম্পর্কে বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, ‘চলাচলের রাস্তা দখল করে পিএইচপির কারখানা, প্রতিকার চাইলে হুমকি মেলে শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি দেখে আমরা বিস্মিত, হতবাক, মর্মাহত ও চরমভাবে বিক্ষুব্ধ।’

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকারের সকল আইনকানুন, নিয়মনীতি মেনে সততা ও নিষ্ঠার সাথে এবং সমাজ তথা রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ যে কয়টি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, পিএইচপি পরিবার তাদের মধ্যে অন্যতম নেতৃস্থানীয় একটি শিল্প পরিবার। আমরা নীরবে নিভৃতে দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করার ক্ষেত্রেও বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছি।’

এতে উল্লেখ করা হয়, ‘আমরা অর্থাৎ পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ২০০৩ সাল থেকে সীতাকুণ্ড থানার বাড়বকুণ্ডে আমাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। সুদীর্ঘ এই ১৭-১৮ বছরে সরকারি/বেসরকারি/স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা এলাকার জনসাধারণ কোন মহল থেকেই পিএইচপি সম্পর্কে কোন ধরনের কোন নেতিবাচক মন্তব্য বা আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি।’

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘হঠাৎ করে প্রথমবারের মত আমাদের সম্পর্কে এরকম একটি সংবাদ পরিবেশন করলেন! এটা একেবারেই কল্পনাপ্রসূত, মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং কোন কুচক্রী মহল দ্বারা প্রভাবিত একটি সংবাদ যা সাংবাদিকতা পেশার সাথে একবারেই বেমানান। কোন দালিলিক প্রমাণ ছাড়া, গঠনমূলক অনুসন্ধান ছাড়া এবং অভিযোগের বিষয়টি যাচাই বাছাই না করে এমনকি পিএইচপি ফ্লোট গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে স্থানীয়ভাবে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়া অর্থাৎ এ বিষয়ে আমাদের কোন বক্তব্য না নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে শুধুমাত্র একটি বানানো অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীন হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যেই এই সংবাদ পরিবেশন, সংগত কারণেই আমাদের কাছে রহস্যময় এবং ভীষণ আপত্তিকর একটি সংবাদ বলে মনে হচ্ছে। আমরা এই মিথ্যা, বানানো, প্রভাবিত ও কল্পনাপ্রসূত এবং কোন যৌক্তিক প্রমাণবিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ দেশের প্রচলিত আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। কোন ধরনের প্রামাণ্য দলিলপত্র, বিজ্ঞ আদালতের ডিক্রী ছাড়া দেশের একটি খ্যাতিমান শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও তার কর্ণধারদের জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করার মানষে একতরফাভাবে মিডিয়া ট্রায়েল করা হয়েছে। কোন সংবাদের সরেজমিন সত্যতা যাচাই না করে, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য গ্রহণ বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এ ধরনের একতরফা মিথ্যা বিদ্বেষমূলক সংবাদ প্রচার জনস্বার্থ বিরোধী ও স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এ ধরনের মিথ্যা সংবাদের কারণে আমাদের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ও এর কর্ণধার, কর্মকর্তা, কর্মচারিদের মান সম্মানের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ সংঘটিত হয়েছে, যা অর্থের দ্বারা পরিমাপযোগ্য নয়।’

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘পিএইচপি পরিবার দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি শিল্প পরিবার এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে, যা আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপকভাবে সমাদৃত। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথা বেকার সমস্যা দূরীকরণে এই শিল্প পরিবার বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে।

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ‘বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, প্রতিবেদক প্রকাশিত সংবাদের একটি স্থানে পিএইচপি পরিবারের মাননীয় ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার কথা উল্লেখ করেছেন, যা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি পিএইচপি পরিবারের কোন সদস্যের সাথেই যোগাযোগ না করে অনৈতিকভাবে এবং বিশেষ মহলের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে এই সংবাদটি প্রচার করেছেন।’

প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আপনার এই মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের কারণে পিএইচপি পরিবারের অপূরণীয় সামাজিক তথা অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।’ আমরা আশা প্রকাশ করছি, এই প্রতিবাদপত্র পাওয়ার সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আপনি এটা আপনার পত্রিকায় হুবহু প্রকাশ করবেন। পাশাপাশি দুঃখ প্রকাশ সাপেক্ষে আপনার মিথ্যা সংবাদটি প্রত্যাহার করবেন। উল্লেখ্য, এর ব্যতিক্রম হলে আমরা দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে আপনার বিরুদ্ধে যুগপৎ মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবো।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!