পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি, এবার অভিযান চট্টগ্রামের খুলশীতে

চট্টগ্রামে পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার (৭ জুলাই) দ্বিতীয় ধাপে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির অধীনে গঠিত সাব-কমিটির সিদ্ধান্তে খুলশী এলাকার জালালাবাদ হাউজিং-এর পাশে পরিবেশ অধিদপ্তর সংলগ্ন মধুশাহ পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৪ পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি, এবার অভিযান চট্টগ্রামের খুলশীতে 1

অভিযানে তাহমিলুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি), পতেঙ্গা সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ফোরকান এলাহী অনুপম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), চান্দগাঁও সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), বাকলিয়া সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি), কাট্টলী সার্কেল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্ব দেন।

খুলশীতে উচ্ছেদ অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ, পিডিবি প্রতিনিধি, ওয়াসা প্রতিনিধি, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসনের কর্তৃক চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৪ পাহাড়ে দ্বিতীয় ধাপের উচ্ছেদ কার্যক্রম ১৭ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি, এবার অভিযান চট্টগ্রামের খুলশীতে 2

দখলদারদের উচ্ছেদ শেষে উদ্ধারকৃত জায়গা সংশ্লিষ্ট পাহাড়ের মালিক এবং নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাকে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে পাহাড়ে কোনো অবৈধ বসতি ও স্থাপনা গড়ে উঠলে সংশ্লিষ্ট পাহাড় মালিক ও সংস্থা দায়ী থাকবে।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং ও নগরীর আট আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

উচ্ছেদ কার্যক্রমে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের সভাপতিত্বে গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৭ পাহাড়ে চিহ্নিত ৮৩৫ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রথম ধাপ রমজানের পূর্বেই সমাপ্ত হয়েছে। প্রথম ধাপে মতিঝর্ণা, বাটালী হিল, পোড়া কলোনি পাহাড়, একে খান পাহাড় এলাকায় প্রায় ৩৫০ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসরত অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!