ন্যাশনাল হাসপাতালের ৩ কর্মী আইসোলেশনে, পরিবার কোয়ারেন্টাইনে

চট্টগ্রামের দামপাড়ায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা কর্ণফুলী থানার বড় উঠান ইউনিয়নের ৩ ব্যক্তিকে ন্যাশনাল হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া সেই ৩ জনের পরিবারকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

রোববার (৫ এপ্রিল) কর্ণফুলী উপজেলার চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কর্ণফুলী উপজেলার চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন,’বড় উঠান ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিনজন ন্যাশনাল হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন। দামপাড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়ায় তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তারা ওই হসপিটালে কর্মরত ছিলেন। তাদের পরিবারকে আমরা পুলিশের সহযোগিতা হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছি। যাতে এলাকার কেউ তাদের সংস্পর্শে না আসে। তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।’

কর্ণফুলী থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামের দামপাড়ায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ওই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বড় উঠান ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তিন জন ব্যক্তি। আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে গিয়ে সংস্পর্শে এসেছিল তারা। তিনজনের মধ্যে একজন ওই হাসপাতালের রোগীদের রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত নিয়ে থাকেন। তাই তাদের তিনজনকে ন্যাশনাল হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনজনের পরিবারকে বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, দামপাড়ায় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আগ্রাবাদ এলাকায় ওই ব্যক্তির নিকটাত্মীয়ের কয়েকটি বাড়ি এবং খুলশী এলাকার সুপারশপ দি বাস্কেট লকডাউন করা হয়। এছাড়া ন্যাশনাল হসপিটালের ৩ জন ডাক্তারসহ মোট ২৩ জন নার্স ও ওয়ার্ডবয়কে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে তিনজনকে আইসোলেশনে নেওয়া হল।

আরএ/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!