দামপাড়ার করোনাকাণ্ডে নতুন মোড়, পাল্টে যাচ্ছে আগের ধারণা!

ভাইরাসের উৎস কে— বাবা না ছেলে?

চট্টগ্রামে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বৃদ্ধের পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৫ জন আত্মীয়ের নমুনা পরীক্ষা হলো আজ। ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে তার ছেলের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেল। বাকি যে চারজনের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে, তাদের মধ্যে সদ্য হজ করে আসা মেয়ে ও মেয়ের শাশুড়িও রয়েছেন। ফলে শুরু থেকে যে ধারণা করা হচ্ছিল সেই ধারণাটিই উল্টে গেল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে কার দ্বারা সংক্রমিত হলেন এই বৃদ্ধ? আর কে কাকে সংক্রমিত করলেন? বৃদ্ধ তার ছেলেকে, নাকি ছেলে তার পিতাকে?

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর পরিবারের ৪ সদস্য ও তার বেয়াইনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে আজ। তার পরিবারের ৪ সদস্য হলেন তার এক ছেলে, এক মেয়ে, স্ত্রী ও এক ভাইপো। এদের মধ্যে ৪ জনের ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। শুধুমাত্র তার ছেলেকে করোনা পজিটিভ হিসেবে পাওয়া গেছে।

সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, বৃদ্ধের যে মেয়েটি বাসায় আছে তার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তিনি করোনা সংক্রমিত নন।

এদিকে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন, বর্তমানে বৃদ্ধের বাসায় তার যে মেয়েটি আছেন উনি ১২ মার্চ হজ করে ফিরেছেন তার শাশুড়িসহ। হজ করে শাশুড়িসহ প্রথমে তিনি এই বাসায় উঠেন। তিনি সেখানে থেকে যান এবং শাশুড়ি সাতকানিয়ার পুরানগড়ে চলে যান।

এদিকে দামপাড়ার বাসায় অবস্থান করা মেয়েটির শাশুড়ির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে এবং শাশুড়ির করোনা নেগেটিভ এসেছে। এই তথ্য চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘বৃদ্ধের পরিবারের ৪ সদস্য ছাড়াও তার বেয়াইনের টেস্ট করেছি আমরা। তার মধ্যেও করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।’

এদিকে বৃদ্ধের ছেলের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে জানিয়ে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে সিভিল সার্জন বলেন, ‘তার পরিবারের চার সদস্যের মধ্যে শুধু ছেলের মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে।’

পরিবারের অন্য দুজন সদস্য বৃদ্ধের স্ত্রী ও তার ভাইপোর মধ্যেও করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ডা. ফজলে রাব্বী।

এদিকে প্রথম করোনা রোগী ধরা পরার পর থেকে ধারণা করা হচ্ছিল যে হজ করে আসা মেয়ে কিংবা মেয়ের শাশুড়ি থেকে সংক্রমিত হতে পারেন তিনি। যাদের দুজনের কারোর মধ্যেই করোনার সংক্রমণ মেলেনি আজ। তবে কার দ্বারা সংক্রামিত হলেন এই বৃদ্ধ? তার ছেলের দ্বারা? এই প্রশ্নের জবাবে এখনো কিছু বলতে নারাজ চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন। চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও উনার এক মেয়েকে পরীক্ষা করিনি। বৃদ্ধের ওই মেয়ে পটিয়ায় থাকে। তাই এখনও এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাই না।’

যদি বিদেশফেরত মেয়ে ও মেয়ের শাশুড়ি থেকে সংক্রমণ না ঘটে, তাহলে বাহক কি ছেলেই। কিন্তু ছেলে বিদেশ সফরের ইতিহাস নেই নিকট অতীতে। সেক্ষেত্রে এটি কি কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ঘটনা? এই প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বলতে পারছি না।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!