নাছিরের বক্তব্য অশোভন, ঝাল ঝাড়লেন সুজন

চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের মনোনয়ন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের দেওয়া বক্তব্য ‘শোভন’ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। এই মনোনয়নের সিদ্ধান্ত দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে এসেছে উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত সবার মেনে নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এর আগে সোমবার (২ মার্চ) দুপুরে নগরীর রিমা কমিউনিটি সেন্টারে যুবলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সাথে চট্টগ্রামের কেউ সম্পৃক্ত নয় দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে প্রশ্ন করেছে অনেকে, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা নৌকা প্রতীকের মনোনীত জনাব রেজাউল করিমের কাছে প্রশ্ন করেছেন অনেকে— এই প্রার্থীগুলো কিভাবে মনোনয়ন পেলেন? আসলে আমরা কোন কিছু জানি না।’

কারা এই মনোনয়ন দিয়েছে সেই প্রশ্ন তুলে আ জ ম নাছির বলেন, ‘আমরা বলি আপনারা জানেন? এসব কাউন্সিলর প্রার্থীকে কারা মনোনয়ন দিয়েছে এটা কি আমরা জানি? আমাদের জানামতে চট্টগ্রামের কেউ এই মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত নই। আজকে তাহলে কারা এদেরকে নির্বাচন করেছে? তারা কারা? তারা কি জেনে শুনে করেছে? তারা জেনে শুনে করেননি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তারা কাজটি করেছেন। বিগত দিনে তাদের কী কর্মকাণ্ড ছিল? এখনো তাদের ব্যাপারে শঙ্কিত। তারা কিভাবে মনোনয়ন পেলেন।’

মেয়রের দেওয়া এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সুজন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘কালকে আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুবলীগের অনুষ্ঠানে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা আমি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় দেখেছি। আমার মনে হয় একটা পাবলিক মিটিংয়ে উনার এই ধরনের বক্তব্য দেওয়াটা সমুচিত হয়নি। কেননা এই নির্বাচনে ক্যান্ডিটেড ঠিক করার সম্পূর্ণ এখতিয়ার আছে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারবিষয়ক মনোনয়ন বোর্ডের এবং সেই বোর্ডের প্রধান হচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মনোনয়ন আসার পর সেই মনোনয়নের বিরুদ্ধে আচরণ করাটা দলের একজন নেতা হিসেবে তার জন্য শোভন হয়নি বলে আমি মনে করি।’

খোরশেদ আলম সুজন আরও বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা আমাদের জন্য নতুন। আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থী থাকতো, এবারে দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত করবেন। কাজেই এখানে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির নয় বরং দলের সাথে দলের নির্বাচন হচ্ছে। সুতরাং এখানে ব্যক্তিগত ডিমান্ড থাকার সুযোগ নাই।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!