ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ—আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও উত্তর আন্দামান সাগরে অবস্থানরত বিক্ষিপ্ত লঘূচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ (Cyclone Yaas) হয়ে ২৪ মে থেকে ২৬ মে নাগাদ উরিষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। তবে এ লঘূচাপটি এখনো ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি। সেটি যদি ঘূর্ণিঝড়ে এ রূপান্তর হয়, তবে তা এক পর্যায়ে শক্তিশালী ‘সুপার সাইক্লোনে’ পরিণত হতে পারে।

লঘূচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে সুন্দরবনের উপকূলে আঘাত হানলে বাংলাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনি ও রোববারও চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাতের সম্ভবানা রয়েছে, বলছে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিস।

এদিকে, গত কয়েকদিন থেকেই গা জ্বালানি গরমে হিমশিম খাচ্ছেন দেশের মানুষ। বৃষ্টির দেখা নেই। ভোর হতে না হতেই চড়া রোদে নাজেহাল অবস্থা। রাতেও গরমে ছটফট করছেন মানুষ। গরমে বয়স্ক ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চট্টগ্রামে তাপমাত্রা কয়েকদিন ধরে ৩৪ ডিগ্রি থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে অবস্থান করছে।

আবহাওয়াবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, যেহেতু লঘূচাপটি বাংলাদেশ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে তাই আমরা কোনো সতর্ক সংকেত এখনো দেইনি। লঘূচাপটি ক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করছে তাই এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে আঘাত হানার আগে ও পরে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি একটি মধ্যম মানের ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। স্থলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। ২৬ মে হলো ভরা পূর্ণিমা। ফলে চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবী একই অক্ষে অবস্থান করবে। চন্দ্র ও সূর্যের মিলিত অভিকর্ষে ওই দিন উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক নিয়মেই ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হবে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে যার সঙ্গে যুক্ত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস। তাই ধারণা করা হচ্ছে, ২৬ মে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানে, তবে উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হবে।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!