দেশবাসীর মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলেন বিএনপির নেতারা

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিগত দুই বছর ধরে বিনাকারণে অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে সরকার। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। তাকে সুচিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কাজির দেউড়ি নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আয়োজিত কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

মাহবুবের রহমান শামীম আরও বলেন, আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ও ঢাকা সিটি নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটচুরির যে মহোৎসব দেখেছে তাতে ভোটারেরা আতঙ্কিত। কারণ এই ইভিএম হচ্ছে ভোট চুরির মেশিন। ইভিএমের মাধ্যমে ডিজিটাল কারচুপি করা যায়। তাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ জনগণ মেনে নেবে না। আমরা ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। স্বাভাবিক উপায়ে তার মুক্তি দেবে না সরকার। তার মুক্তির জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। খালেদা জিয়া কেবল বিএনপির চেয়ারপারসনই নন, তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নানামাত্রিক উন্নয়নের রূপকার। দেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশবাসীর মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, নীলনকশা অনুযায়ী সাজানো মামলার পাতানো রায়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েও ক্ষান্ত হয়নি সরকার। কারাগারে তাকে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করে অমানুষিক পরিস্থিতির মধ্যে রেখেছে। তার ন্যায্য অধিকার জামিনে মুক্তি আটকে রেখেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। কিন্তু এতকিছুর পরও ইস্পাতকঠিন মনোবলের অধিকারী দেশনেত্রীকে একচুলও নোয়াতে পারেনি। তার এই কারাভোগ কেবলই রাজনৈতিক কারণে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এমএ আজিজ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী বেগম নুরি আরা ছাফা।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, যুগ্ম সম্পাদক শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু প্রমুখ।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!