ট্রাক শ্রমিকদের ধর্মঘটে সীতাকুণ্ডে বাস যাত্রীদের দুর্ভোগ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড অংশে ট্রাক শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাস যাত্রীরাও। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে মহাসড়কে বেশকিছু ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল করতে দেখা গেলেও যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা ছিল হাতেগুণা কয়েকটি। যার কারণে চট্টগ্রাম সিটি গেট থেকে বড়দারোগার হাট পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে দাঁড়িয়ে ছিল শতশত চট্টগ্রাম ও ঢাকামুখী যাত্রীরা।

সীতাকুণ্ড থেকে সিটি গেট পর্যন্ত ৮নম্বর মিনিবাস ও নাভানা চলাচল করলেও কোনো গাড়িকে সিটি গেট থেকে শহরের অভিমুখে প্রবেশ করতে দেননি কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতারা।

সড়ক নিরাপত্তায় করা নতুন আইনের সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় পরিবহন ধর্মঘটের সাথে ট্রাক কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেন মালিক-শ্রমিক সমিতি। ৯ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট শুরু করে বাংলাদেশ ট্রাক কাভার্ডভ্যান পণ্যবাহী পরিবহন মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ।

বাসযাত্রী নিজাম মো. আকিব বলেন, ‘ট্রাক শ্রমিকদের ধর্মঘটের কথা সুনেছিলাম। কিন্তু বাসের সংখ্যা কেন কম তা বুঝতে পারছি না। পণ্যবাহী পরিবহনের সাথে যাত্রীবাহী বাসও মহাসড়কে চলাচল কমে গেছে। এটার অর্থ বুঝলাম না। আমি মিনিবাসে করে চট্টগ্রামে যেতে চাইলেও ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিকরা কোনো গাড়িকে শহরে যেতে দিচ্ছে না। কোনো উপায় না দেখে রিক্সায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম গেছি।’

সীতাকুণ্ড পরিবহন মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘সীতাকুণ্ড বারৈয়ারহাট থেকে সিটি গেট পর্যন্ত শুধু মিনিবাস চলাচল করলেও কোনো গাড়িকে সিটির ভেতরে প্রবেশ এবং সিটির বাইরে যেতে দিইনি আমরা।’

বার আউলিয়া হাইওয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের অংশে বুধবার সকাল থেকে সবধরনের যানবাহন চলাচল করেছে। কোনো রকম সমস্যা হয়নি। যাত্রীরাও নির্বিগ্নে যাতায়াত করেছেন।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!